সন্ধানী: বাঘের খোঁজে ড্রোন। লালগড়ের কামরাঙির জঙ্গলে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
ফের দেখা গেল বাঘের পায়ের ছাপ। বন দফতর সূত্রের খবর, শুক্রবার লালগড়ের মধুপুর বিটে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে।
বনকর্তারা আগেই জানিয়েছিলেন, মেদিনীপুর থেকে ফের লালগড়ের দিকে ফিরে গিয়েছে বাঘ। কিন্তু কয়েক দিন তার চিহ্ন মিলছিল না। অবশেষে এ দিন দেখা গেল তার পদচিহ্ন। স্বাভাবিক ভাবে ফের ছড়িয়েছে আতঙ্ক। স্থানীয় বাসিন্দা শিশির মাহাতো বলেন, ‘‘বাঘ কত দিনে ধরা পড়বে কে জানে! প্রতিদিনই ভয়ে কাটাতে হচ্ছে।’’
এ দিনও বাঘের খোঁজে লালগড়ের জঙ্গলে চক্কর কেটেছে ড্রোন। আমলিয়া এবং কামরাঙির জঙ্গলে ড্রোনের সাহায্যে খোঁজ চলেছে তন্ন তন্ন করে। কিন্তু তার টিকি মেলেনি। আমলিয়ার জঙ্গলের কিছু দূরেই মেলখেরিয়ার জঙ্গল। এই মেলখেরিয়ার জঙ্গলেই বাঘের ছবি সপ্তাহখানেক আগে ক্যামেরাবন্দি হয়। কিন্তু ওই একবারই। গত বুধবার বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে বন দফতরের কর্তাদের সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। বাঘের খোঁজে ড্রোন ব্যবহারের নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরপরই বৃহস্পতিবার জঙ্গলে ড্রোন ওড়ানো হয়।
লালগড়ে কি আরও ফাঁদ ক্যামেরা বসানো হবে? এক বনকর্তার কথায়, “বাঘ যে রয়েছে তা জানা গিয়েছে। তিনটি খাঁচা পাতা রয়েছে। আরও একটি খাঁচা রয়েছে। প্রয়োজনে সেটি পাতা হবে। বেশি ক্যামেরা লাগিয়ে লাভ নেই।” বন দফতরের কর্তারা জঙ্গলে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করছেন। রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) রবিকান্ত সিংহের কথায়, “জঙ্গলে শান্তি থাকলে বাঘ ধরা পড়বে। গ্রামবাসীদের বলা হচ্ছে, শান্তিতে বাঘকে থাকতে দিন। বাঘ এমনিতেই ধরা পড়ে যাবে।” মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “জঙ্গলে শান্তি রাখতে হবে। গ্রামবাসীদের সহযোগিতা চেয়েছি। ক’টা দিন সন্ধের পরে বেরোতে না- বলেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy