ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় উত্তপ্ত হয়ছিল মুর্শিদাবাদে। সেই আবহে খুন হন বাবা-ছেলে। ওই ঘটনার তদন্তে শনিবার একযোগে তিন জায়গায় তল্লাশি চালাল পুলিশ। একই দিনে গ্রেফতার করা হল তিন জনকে। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পুরসভার জাফরাবাদের বাসিন্দা হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খুনে এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উল্লেখ্য, আগামী সোমবারই মুর্শিদাবাদ সফর রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পরের দিন মুর্শিদাবাদের উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে যেতে পারেন তিনি।
শুক্রবার রাত থেকে অভিযান শুরু হয়। শনিবার মোট তিন জনের গ্রেফতারির খবর দিয়েছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে নুরুল ইসলাম নামে এক জনকে পাকড়াও করা হয় ফরাক্কা থানার হাউসনগর এলাকা থেকে। তার পর হাওড়া স্টেশনে জব্বলপুর এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালিয়ে ইকবাল নামে এক অভিযুক্তকে ধরে পুলিশ। পরে সাবা করিম নামে এক অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়েছে জঙ্গিপুর থেকে।
আরও পড়ুন:
ধৃতদের আদালতে হাজির করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ। উল্লেখ্য, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় অশান্তির আবহে জাফরাবাদে বাবা-ছেলে খুন হলেও হত্যার নেপথ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতাই কারণ বলে উঠে এসেছে তদন্তে। সংশ্লিষ্ট ঘটনার তদন্তের জন্য রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের ঘটনায় আরও বেশ কয়েক জনের যোগসূত্র পাওয়া যেতে পারে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার অমিত সাউ বলেন, ‘‘বাবা-ছেলে খুনের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। নতুন করে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও এক জনকে এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গ্রেফতারির সংখ্যা ১০। আশা করছি, এ বার দ্রুত তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব হবে।’’