গত ২৩ এপ্রিল বাড়ি থেকে এক নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দায়ের হয়েছিল আত্মহত্যার মামলা। কিন্তু পরিবারের দাবি, আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে নাবালিকাকে। আর সেই কাজ করেছেন নাবালিকার দূর সম্পর্কের এক জামাইবাবু। ওই একই অভিযোগ করে নাবালিকা মৃত্যুর বিচার চেয়ে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার সুটিয়া গোবরডাঙা রাস্তা অবরোধ করল বরুণ বিশ্বাসের প্রতিবাদী মঞ্চ। শনিবার এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা যাচ্ছে, গাইঘাটা থানার সুটিয়ার বাসিন্দা ওই নাবালিকার মৃত্যুর পর পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। পরিবারের দাবি, থানায় অভিযোগ করতে গেলে আত্মহত্যার মামলা রুজু হয়েছিল। কিন্তু আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চেয়েছিল তারা। অর্থাৎ, খুনের অভিযোগ করতে গেলেও পুলিশের পক্ষ থেকে আত্মহত্যার অভিযোগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি। পরিবারের অনুমান, মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এই কাণ্ডটি করেছেন নাবালিকার দূর সম্পর্কের জামাইবাবু।
মৃতার পরিবারের দাবি, ঘটনার দিন নাবালিকাকে তার জেঠুর বাড়ি থেকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে মদ খাইয়েছিলেন দূর সম্পর্কের জামাইবাবু। মেয়েটি আতঙ্কিত হয়ে বন্ধুদের কাছে সাহায্য চেয়ে ফোন করে। নাবালিকার মা সে দিন বাড়িতে ছিলেন না। মেয়ের এক বন্ধুর কাছ থেকে তিনি খবর পান যে, মেয়েকে একটি জায়গায় নিয়ে গিয়েছে তাঁদের জামাই। তিনি মেয়ের মোবাইলে ফোন করেন। তখন ফোন তুলেছিলেন জামাই। পরে বাড়ি থেকে মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন:
শনিবার অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলে গাইঘাটার সুটিয়া গোবরডাঙা রাজ্য সড়কের বলদেঘাটায় বরুণ বিশ্বাসের প্রতিবাদী মঞ্চের পক্ষ থেকে শুরু হয় রাস্তা অবরোধ। প্রতিবাদী মঞ্চের সভাপতি ননীগোপাল পোদ্দার বলেন, ‘‘নাবালিকার মৃত্যুর পরে পরিবার খুনের অভিযোগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ আত্মহত্যার অভিযোগ নেয়। অন্য দিকে, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পুলিশের হেফাজতেই রয়েছেন। অবিলম্বে এই ঘটনার ঠিকঠাক তদন্ত শুরু করুক পুলিশ।’’ অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গাইঘাটা থানার পুলিশ। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ চলার পর পুলিশের আশ্বাসে আপাতত অবরোধ তুলে নিয়েছেন প্রতিবাদকারীরা।