Advertisement
E-Paper

বাইপাসের জমি নিতে দুর্নীতির দাবি ভিক্টরের

২০১৮ সালে বাইপাসের কাজ শুরু হয়। কাজ চলছে। এরই মধ্যে বাইপাসের জমির দাম নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগকে ঘিরে প্রশ্নের মুখে জেলা প্রশাসন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯ ০২:৪৪
ইসলামপুর শহর বাঁচাতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাস রাস্তা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বাম সরকারের আমলে। প্রতীকী ছবি।

ইসলামপুর শহর বাঁচাতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাস রাস্তা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বাম সরকারের আমলে। প্রতীকী ছবি।

ইসলামপুরের বাইপাসের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন চাকুলিয়ার ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক আলি ইমরান রমজ (ভিক্টর)। বিধানসভায় ভিক্টরের সেই দাবি নিয়ে এলাকায় নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। তবে দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রশাসন ও শাসক দল।

ইসলামপুর শহর বাঁচাতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাস রাস্তা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বাম সরকারের আমলে। প্রশাসন সূত্রের খবর, মোট ১৮০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ২০১৮ সালে বাইপাসের কাজ শুরু হয়। কাজ চলছে। এরই মধ্যে বাইপাসের জমির দাম নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগকে ঘিরে প্রশ্নের মুখে জেলা প্রশাসন।

বাইপাস জমি রক্ষা কমিটির সভাপতি শঙ্কর ভাওয়াল অভিযোগ করেন, ‘‘জমি নিয়ে বড় কেলেঙ্কারি হয়েছে। আমরা শুরু থেকে এই নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছি। কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, এই দুর্নীতির সঙ্গে প্রশাসনিক আমলা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতারাও যুক্ত।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘জমির ন্যায্য মূল্য না দিয়ে কৃষকদের প্রতারিত করেছে প্রশাসন। জমি আইনে বলা হয়েছে, জমি অধিগ্রহণের পর পাঁচ বছরের মধ্যে কাজ করতে হবে। জমি ফেলে রাখা যাবে না। কিন্তু ২০০৪ সালে জমি অধিগ্রহণ হলেও জমির দাম দেওয়া শুরু হয় ২০১০ সাল থেকে। কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে।’’

শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘আমাদের জমি দিতে কখনও আপত্তি ছিল না। কিন্ত জমির দাম নিয়ে আপত্তি।’’ জমিদাতাদের অভিযোগ, যেখানে জমির একর পিছু দাম এক কোটি টাকা, সেখানে তাঁদের দেওয়া হয়েছে দেড় লক্ষ থেকে তিন লক্ষ। প্রায় তিন হাজার জমিদাতার কাছে জমি নেওয়া হয়েছে। অনেক জমিদাতা এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি।

জমিদাতাদের অভিযোগ, মন্ত্রী গৌতম দেবও প্রতিশ্রুতি পালন করেননি। ভিক্টরের অভিযোগ, ‘‘একই মৌজার জমি শাসক দলের কর্মী দাম পাচ্ছেন ১৯ লক্ষ টাকা। আবার অন্য জন পাচ্ছেন মাত্র তিন লক্ষ টাকা। ভুয়ো জমিদাতা দেখিয়েও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।’’

তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘ভিক্টর ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে বিধানসভাকে বিভ্রান্ত করছেন।’’ তিনি বলেন, ‘‘বাম সরকার অধিগ্রহণ করে জমি ফেলে রেখেছিল। বর্তমান রাজ্যে সরকার কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে জট কেটে কাজ শুরু করেছে।’’ জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, জমির যা দাম দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ ক্ষতিপূরণ না পেয়ে থাকলে সরাসরি প্রশাসনের নিকট আবেদন করতে পারবেন।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

Asembly Islampur Ali Imran Ramz
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy