একটানা ধারাবর্ষণ বা জোরালো বৃষ্টি আপাতত আর নয়। তবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বর্ষার বৃষ্টি চলবে বিক্ষিপ্ত ভাবে। আবহাওয়ার মতিগতি খতিয়ে দেখে এমনটাই জানাচ্ছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের কর্তারা।
হাওয়া অফিসের ব্যাখ্যা, একটানা জোরদার বৃষ্টির জন্য ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপের প্রয়োজন হয়। এখন তেমন কোনও পরিস্থিতি সৃষ্টির ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। যে-জোড়া ঘূর্ণাবর্ত চোখ রাঙাচ্ছিল, তারা ইতিমধ্যেই ক্ষমতা খুইয়েছে। আর তৃতীয় ঘূর্ণাবর্তটি দানা বাঁধতে চাইলেও তার চেষ্টা মোটেই স্থায়ী হয়নি। এতে দু’দিক থেকে স্বস্তির আশা আছে। প্রথমত, দুর্যোগের আশঙ্কা তেমন নেই। দ্বিতীয়ত, কমবেশি বৃষ্টি চললে চাষের কাজ চালাতে সুবিধেই হবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস মঙ্গলবার জানান, বর্ষার এই মরসুমে উত্তরবঙ্গ থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত মৌসুমি অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। তার ফলে বিভিন্ন এলাকায় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হতেই থাকবে। তা থেকেই বৃষ্টি হতে পারে। বিক্ষিপ্ত ভাবে। এই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির চরিত্র কেমন? আবহবিজ্ঞানীরা বলছেন, এই বৃষ্টি বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হয় না। যখন যে-এলাকার উপরে মেঘ তৈরি হবে, বৃষ্টি হবে সেখানেই। অর্থাৎ দমদমে বৃষ্টি নামলে ধর্মতলা বা টালিগঞ্জ শুকনো থাকতেই পারে।