Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

যেতে চায় সব পক্ষ, আপত্তি মুখ্যমন্ত্রীর

মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন এবং পার্থবাবুর অনুরোধের আগে পর্যন্ত ঠিক ছিল, সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য তথা সাংসদ মহম্মদ সেলিম এবং বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বামফ্রন্টের প্রতিনিধি দল শুক্রবার বসিরহাট যাবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি ও কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৭ ০৩:০৬
Share: Save:

বসিরহাটের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবারই সেখানে যেতে চাইছে একাধিক রাজনৈতিক দল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব দলের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, আগে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। তার পরে সেখানে রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করা যেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা নিয়ে রাতেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সিপিএম নেতা রবীন দেব ও কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানকে ফোন করেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বসিরহাটে শুক্রবারের কর্মসূচি বাতিল করার অনুরোধ করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে দলগুলি কী করবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন এবং পার্থবাবুর অনুরোধের আগে পর্যন্ত ঠিক ছিল, সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য তথা সাংসদ মহম্মদ সেলিম এবং বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বামফ্রন্টের প্রতিনিধি দল শুক্রবার বসিরহাট যাবে। বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে সর্বদল বৈঠক ডাকতে বলেছেন সুজনবাবু। মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবিত শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সব দলের প্রতিনিধিদের রাখার দাবি তুলেছেন তিনি।

বসিরহাট নিয়ে বৃহস্পতিবারই দলের তিন সাংসদ—মীনাক্ষি লেখি, সত্যপাল সিংহ এবং ওম মাথুরকে নিয়ে কমিটি গড়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। শুক্রবার এঁদের সঙ্গে যাওয়ার কথা দিলীপ ঘোষ ও পশ্চিমবঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের। বসিরহাটের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তাঁরা অমিত শাহকে রিপোর্ট দেবেন। পাশাপাশি, বসিরহাটে নিহত কার্তিক ঘোষের বাড়িতে শুক্রবারই যাওয়ার কথা বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও বিধায়ক মনোজ টিগ্গা।

সক্রিয় কংগ্রেসও। প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের একটি দল শুক্রবার বসিরহাট যাবে। এই প্রসঙ্গেই অধীর এ দিন তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘‘বসিরহাট, স্বরূপনগর, বাদুড়িয়ায় প্রশাসনের মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘আরএসএস-এর বাড়বাড়ন্তের জন্য দিদি দায়ী। দিদি যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন এদের ৪০০ শাখা ছিল, এখন তা বেড়ে হয়েছে ২২০০!’’

এ দিনই রাজ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন শঙ্খ ঘোষ, নবনীতা দেবসেন-সহ বিশিষ্ট জনেরা। তাঁদের দাবি, কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। ফেসবুক থেকে গোলমাল ছড়িয়ে পড়েছে বলে হাত তুলে নিলে হবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE