খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পথকুকুরদের হত্যার অভিযোগ উঠল পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে। পশুপ্রেমীদের অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
রবিবার সকালে আসানসোলের হীরাপুর থানার মানিকচাঁদ এলাকায় রাস্তায় তিনটি পথকুকুরের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। অভিযোগ, কেউ বা কারা রাতে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়েছিল পাড়ার কুকুরগুলিকে। এখনও বেশ কয়েকটি কুকুর নিখোঁজ। কুকুরপ্রেমীদের অনুমান, স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়ির মুরগি খেয়ে নেওয়ায় কুকুরগুলিকে হত্যা করা হয়েছে।
ডিসিপি পশ্চিম সন্দীপ কররা জানান, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দিল্লির পথকুকুরদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সেই আবহে নিজেদের রায়ে বদলায় সুপ্রিম কোর্ট। প্রথমে শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা স্থগিত রাখা হয়। পরিবর্তে পথকুকুরদের বন্ধ্যাত্বকরণে জোর দেয় আদালত। জানায়, পথকুকুরদের দিল্লির রাস্তা থেকে নির্দিষ্ট আশ্রয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে সঠিক পদ্ধতিতে বন্ধ্যাত্বকরণ এবং প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ করতে হবে। তার পর আবার যেখান থেকে কুকুরদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানে ফিরিয়ে দিয়ে যেতে হবে।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমের কথা বলেছে আদালত। যে সমস্ত কুকুর র্যাবিস আক্রান্ত বা আগ্রাসী স্বভাবের, তাদের আশ্রয়কেন্দ্রেই রেখে দিতে হবে। আর রাস্তায় ফেরানো যাবে না। এ ছাড়া, আদালত রাস্তায় প্রকাশ্যে কুকুরদের খাওয়ানোর অনুমতি দেয়নি। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সন্দীপ মেহতা এবং বিচারপতি এনবি অঞ্জারিয়ার বেঞ্চে দিল্লির পথকুকুর সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়েছে। এর আগে দুই বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, দিল্লির রাস্তা থেকে সমস্ত পথকুকুরকে সরিয়ে দিতে হবে। তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে রাখা হবে। পশুপ্রেমী এবং পশুকল্যাণ সংগঠন, বিভিন্ন এনজিও এই রায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বেঞ্চ বদল করে দেন। শুক্রবার সেই নতুন বেঞ্চ রায় শোনায়।