নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটো উল্টে মৃত্যু হল চালকের। মৃতের নাম মহম্মদ মুন্না খান (৩২)। তাঁর বাড়ি নাদিয়াল থানা এলাকার ওয়ার্শিনগরে। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বন্দর থানা এলাকার সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড এবং সিক লেনের সংযোগস্থলে। অভিযোগ, বুধবার ওই ঘটনা ঘটলেও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে জখম চালকের মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার ভোরে।
পুলিশ জানিয়েছে, অটোয় একাই ছিলেন মুন্না। তিনি রামনগরের দিক থেকে খিদিরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। মাঝরাস্তায় তাঁর অটোটি কোনও ভাবে উল্টে যায়। মুন্নাকে উদ্ধার করে স্থানীয়েরা প্রথমে নাদিয়ালের গার্ডেনরিচ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশ জানতে পেরেছে, সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে দেখে কিছু ওষুধ দেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পরে বাড়ি নিয়ে চলে যেতে বলেন।
মৃত মুন্নার দাদা রাজা খান জানান, বাড়িতে রাতে অবস্থার অবনতি হয় তাঁর ভাইয়ের। তখন মুন্নাকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা কিছু ওষুধ কিনে আনতে বলেন। কিন্তু সেখানে শয্যা খালি নেই বলায়, পরিজনেরা মুন্নাকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ দিন ফোনে রাজা জানান, মেডিক্যাল কলেজেও ভর্তির কোনও ব্যবস্থা না হওয়ায় ওই রাতেই তাঁরা মুন্নাকে নিয়ে আসেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার মুন্নার দেহের ময়না তদন্ত করা হয়।
পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, হাসপাতালের বিরুদ্ধে মুন্নার পরিজনেরা কোনও অভিযোগ করেননি। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ অঞ্জন অধিকারী বলেন, ‘‘এমন ঘটনার কথা জানা নেই। পরিবার নির্দিষ্ট অভিযোগ করলে অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।’’ এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগীকে জরুরি বিভাগে আনার পরে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার পরে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে কোনও অভিযোগ তাঁরা পাননি। তবে নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হবে।
পুলিশ জানায়, মুন্নার মৃত্যু অটো উল্টে না কি অন্য আঘাতে, তা জানার জন্য পশ্চিম বন্দর থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)