Advertisement
E-Paper

অচ্ছে দিন কোথায়, নাম না করেই তোপ মন্ত্রী অমিতের

কলকাতা সফরে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিজেপি সভাপতি। তার মোকাবিলায় এ দিন বেঙ্গল চেম্বারের ১৬৩তম বার্ষিক সভাকে হাতিয়ার করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:৩৮
বেঙ্গল চেম্বারের অনুষ্ঠানে অমিত মিত্র। পাশে বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি চন্দ্রশেখর ঘোষ। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

বেঙ্গল চেম্বারের অনুষ্ঠানে অমিত মিত্র। পাশে বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি চন্দ্রশেখর ঘোষ। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

অমিত বনাম অমিত।

কেন্দ্রের দেওয়া অনুদানের টাকা কোথায় গেল, এই প্রশ্নে যখন রাজ্যকে বিঁধছেন অমিত শাহ, তখন পাল্টা আক্রমণে দেশের আর্থিক অবস্থার অবনতির পরিসংখ্যান দিয়ে অমিত মিত্র দাবি করছেন, ‘আচ্ছে দিনে’র খোঁজ এখনও মেলেনি।

কলকাতা সফরে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিজেপি সভাপতি। তার মোকাবিলায় এ দিন বেঙ্গল চেম্বারের ১৬৩তম বার্ষিক সভাকে হাতিয়ার করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। অমিত শাহ যখন রাজ্যের আর্থিক দুরবস্থার কথা বলছেন, অমিত মিত্রের মুখে তখন দেশের অর্থনীতির বেহাল দশার অভিযোগ। পরিসংখ্যান তুলে ধরে অর্থমন্ত্রীর দাবি, আর্থিক বৃদ্ধির হার ২০১৫-’১৬-তে ৮% থেকে কমে ২০১৬-’১৭-তে হয়েছে ৭.১%। ২০১৭-’১৮-তে যতটা বৃদ্ধির হার আগে আশা করা হয়েছিল, এখন তা আরও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। কমেছে উৎপাদন শিল্পের হার, নতুন লগ্নির বাস্তবায়ন ইত্যাদি। তাঁর কথায়, ‘‘ব্যাঙ্ক ঋণের হার বাড়বে, এটাই আমরা আশা করব। কিন্তু ২০১৫-’১৬-তে তা ১০.৩% থেকে ২০১৬-’১৭-তে কমে হয়েছে ১.৭%। যা ১৯৯৫-’৯৬-এ পরে সর্বনিম্ন।’’

কারও নাম না করে অমিতবাবু বলেন, ‘‘আমরা অচ্ছে দিনের কথা শুনেছিলাম। কিন্তু এখনও তা খুঁজে চলেছি। আমি শুনেছি এক জন দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছেন। এ সব পরিসংখ্যান সত্যি হলে তাঁকে এই অবস্থার কারণ জিজ্ঞাসা করা উচিত।’’ পক্ষান্তরে বিভিন্ন আর্থিক মাপকাঠিতে দেশের গড়ের চেয়ে এ রাজ্য এগিয়ে, বরাবরের মতোই এ দিনও সেই দাবি করেন তিনি। এ ছাড়া রাজ্যে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বিলি, ছোট ও মাঝারি শিল্পকে ব্যাঙ্ক ঋণদানের হার ইত্যাদি অনেক বেড়েছে বলেও তাঁর দাবি।

জিএসটি প্রসঙ্গেও এ দিন কেন্দ্রকে ফের বিঁধেছেন অমিত মিত্র। তিনি বলেন, ‘‘বারবার বলেছিলাম, যথেষ্ট প্রস্তুতি না নিয়ে ১ জুলাই থেকে জিএসটি চালু না-করতে। এ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করায় কিছু দিন আগে জানতে পারি, যেখানে প্রতি মাসে ৩০০ কোটি সংস্থার তথ্য জিএসটি ‘আপলিঙ্ক’ হওয়ার কথা, সেখানে মাত্র ২০০টি সংস্থাকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছিল।’’ অমিতবাবুর
কটাক্ষ, ‘‘এটা তো কোনও ‘যোগ’ নয়। বিশ্বের বৃহত্তম আর্থিক সংস্কার।’’

Amit Shah President of the Bharatiya Janata Party Amit Mitra Commerce & Industries Minister অমিত শাহ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy