Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Amit Mitra

রাজ্যের প্রাপ্য চেয়ে, করোনা-পণ্যে জিএসটি মকুবের দাবি তুলে নির্মলাকে চিঠি অমিতের

অমিতের দাবি, কেন্দ্র আনুমানিক ৬৩ হাজার কোটি টাকা জিএসটি বকেয়া রেখেছে বিভিন্ন রাজ্যের। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্য ৪,৯১১ কোটি।

অমিত মিত্র এবং নির্মলা সীতারামন।

অমিত মিত্র এবং নির্মলা সীতারামন। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২১ ১১:৫৭
Share: Save:

পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্য চেয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তাঁর দাবি, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর হানায় বিধ্বস্ত হয়েছে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা। কিন্তু পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় কেন্দ্রীয় সাহায্য মেলেনি। এমনকি, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জিএসটি থেকে প্রাপ্য অংশটুকুও রাজ্যকে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি কোভিড আবহে স্যানিটাইজারের মতো অত্যাবশকীয় স্বাস্থ্য-পণ্যে ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানোরও বিরোধিতা করেছেন তিনি।

শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে পাঠানো ৪ পাতার চিঠিতে অমিত লিখেছেন, ‘২০২০-র এপ্রিল থেকে ২০২১-এর জানুয়ারি পর্যন্ত কেন্দ্র আনুমানিক ৬৩ হাজার কোটি টাকা জিএসটি বকেয়া রেখেছে বিভিন্ন রাজ্যের। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্য ৪,৯১১ কোটি টাকা’। সেই টাকা রাজ্যেকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অমিত।

এ ছাড়া জিএসটি তহবিল থেকে রাজ্যগুলিকে বিনা শর্তে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের জিডিপি-র ৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়ারও দাবি তোলা হয়েছে চিঠিতে। অমিতের দাবি, ইয়াস-পরবর্তী ত্রাণ ও পুনর্গঠন এবং করোনা টিকাকরণে বাড়তি খরচের কারণে পরিকাঠামো উন্নয়নের বাজেটে টান পড়বে। তাই ঋণ প্রয়োজন।

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে অমিত মনে করিয়ে দিয়েছেন, গত মাস চিঠি পাঠিয়ে করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসার খরচ কমাতে প্রতিষেধক, ওষুধ-সহ সংশ্লিষ্ট একাধিক পণ্যে জিএসটি মকুব করার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। সেই দাবি, প্রসঙ্গে এখনও নিরব রয়েছে কেন্দ্রে। তা ছাড়া কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা সংক্রান্ত মন্ত্রিগোষ্ঠীতে কেন বিজেপি বিরোধী দল পরিচালিত রাজ্যগুলির প্রতিনিধিদের রাখা হয়নি, সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE