উধাও: পড়ে শুধু কাঠামো। বুধবার তারাপীঠে। নিজস্ব চিত্র
কোথাও পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া, কোথাও পোস্টারের উপরেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি-সহ পোস্টার সেঁটে দেওয়া— এমন নানা অভিযোগে বুধবার উত্তপ্ত হল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর বঙ্গসফর।
কলকাতায় এসেই হাওড়ার শরৎ সদনে বিজেপির আইটি সেলের সঙ্গে বৈঠক ছিল শাহর। কলকাতা থেকে যে রাস্তায় দিয়ে হাওড়ায় শাহ পৌঁছবেন, সেই রাস্তার দু’ধারে তাঁর পোস্টার, বিজেপির পতাকায় সাজানো হয়েছিল। শরৎ সদনে বিকেলে শাহ পৌঁছনোর আগেই হাওড়ার ফোরশোর রোডে তাঁর কাটআউট ও দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে গোলমাল বাধে। বিজেপির অভিযোগ, হাওড়া পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি শামিম আহমেদ ও হাওড়া পুরসভার মেয়র পারিষদ তথা উত্তর হাওড়ার তৃণমূল সভাপতি গৌতম চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল তৃণমূল কর্মী পুলিশের সামনেই শাহর সব ছবি ও দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে সেই জায়গায় তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দিয়েছেন। অভিযোগ স্বীকার করে উত্তর হাওড়ার তৃণমূল সভাপতি গৌতমবাবু বলেন, ‘‘আমাদের সাজানো ওই রাস্তায় বিজেপির এত কাট আউট ও পতাকা দৃশ্য দূষণ করছিল, তাই সরিয়ে দিয়েছি।’’ অন্যদিকে শামিমের বক্তব্য, ‘‘ওই রাস্তায় শুধু তৃণমূলের পতাকা ও মুখ্যমন্ত্রীর ছবিই থাকবে।’’
আজ, বৃহস্পতিবার প্রথমে কলকাতা থেকে তারাপীঠ, তার পরে পুরুলিয়ায় যাওয়ার কথা শাহর। তারাপীঠে শাহ পৌঁছনোর একদিন আগেই মনসুবা ও কড়কড়িয়া মোড়, বড়শাল, তারাপীঠ থেকে অন্তত পঞ্চাশটি পোস্টার, ফ্লেক্স ‘চুরি’ হয়ে গিয়েছে বলে বিজেপি অভিযোগ তুলল। কী ভাবে পোস্টারগুলি চুরি গেল, তা তদন্ত করছে পুলিশ। শুধু পোস্টার চুরি নয়, যে রাস্তা দিয়ে শাহ তারাপীঠ থেকে পুরুলিয়া যাবেন, সেখানেও রাস্তার দু’ধারে শাহর হোর্ডিংয়ের কিছুটা উপরে মমতা ও অভিষেকের ছবি দেওয়া হোর্ডিং টাঙানো হয়েছে। সেই সব হোর্ডিংয়ে কোথাও ২১ জুলাইয়ে সমাবেশের কথা, কোথাও আবার হিন্দিতে মমতাকে রাজ্যের উন্নয়নের মুখ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভিড়ের চাপ, বিশৃঙ্খলা শাহের জোড়া সভায়
শাহর পোস্টার, হোর্ডিংয়ের উপরেই তৃণমূলের পোস্টার কি পাল্টা জবাব দিতে? পুরুলিয়ার তৃণমূল জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর দাবি, ‘‘কেন বিজেপির পাল্টা হোর্ডিং টাঙাতে যাব? ২১ জুলাইয়ের সভা তো আছেই। আর আগামী রবিবার বিজেপির কুৎসার জবাব দিতে আমরা জেলায় জনসভা করেছি। তারই প্রচার করতে এই সব পোস্টার।’’ যদিও পুরুলিয়া জেলার বিজেপি সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, ‘‘বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে স্বাগত জানাতে তৃণমূল নেত্রী ও তাঁর ভাইপোর ছবি দেওয়া হোর্ডিং পড়েছে, মন্দ কী!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy