শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে ইডি নথিভুক্ত করেছে রেখা পাত্রের অভিযোগও। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে যে এফআইআরগুলির ভিত্তিতে ইডি তদন্ত শুরু করেছিল, তার মধ্যে রয়েছে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের অভিযোগও।
সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার পুরোভাগে ছিলেন রেখা। শাহজাহানের শাগরেদদের বিরুদ্ধে ভয় দেখানো এবং নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। পরে সন্দেশখালি যে লোকসভা কেন্দ্রের অধীন, সেই বসিরহাটের লোকসভা ভোটের মুখ হিসাবে তাঁকেই বেছে নেয় বিজেপি। ইডি সূত্রে খবর, গত ৮ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহানের শাগরেদদের বিরুদ্ধে ভয় দেখানো, নির্যাতন-সহ মোট ৭টি ধারায় অভিযোগ করেছিলেন রেখা। পরে সেই অভিযোগে যুক্ত করা হয় ৩০৭ অর্থাৎ খুনের ঘটনায় জড়িত থাকা এবং ৩৭৬ডি ধারাও।
রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শাহজাহানের বিরুদ্ধে এখন যে অভিযোগে তদন্তে নেমেছে ইডি, তাতে তাঁর বিরুদ্ধে জমির জবরদখল এবং নানা সংগঠিত অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ইডির অভিযোগ, এই সব কুকর্মের মাধ্যমেই বেআইনি ভাবে টাকা উপার্জন করতেন শাহজাহান। তার পর মাছের ব্যবসার আড়ালে সেই কালো টাকা সাদা করে নিতেন। কিন্তু অভিযোগ করলেও ইডি সরাসরি শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে না। তাই তদন্তে নেমে শাহজাহানের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানা এবং ন্যাজাট থানায় দায়ের হওয়া এফআইআরের সন্ধান করেছিল ইডি। পেয়েও যায়।
এই প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক ভাবে ছ’টি এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ইডি। যার মধ্যে চারটি দায়ের হয়েছিল ২০১৯ এবং ২০২২ সালে ন্যাজাট থানায়। বাকি দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হয় ২০২৪ সালের ৮ এবং ১২ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি থানায়। তবে প্রথম চারটি এফআইআরে শাহজাহানের নাম থাকলেও রেখার অভিযোগে শাহজাহানের নাম ছিল না। বদলে সেই অভিযোগে নাম ছিল শাহজাহানের ‘শাগরেদ’ শিবপ্রসাদ হাজরা এবং অন্যদের। ইডি অবশ্য তার পরও ওই অভিযোগকে শাহজাহানের বিরুদ্ধে তদন্তে নথিভুক্ত করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy