বিমল গুরুঙ্গ-সহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল সিআইডি। ফাইল চিত্র।
তাঁর নামে আগেই বেআইনি কার্যকলাপ নিরোধক আইনে (ইউএপিএ) মামলা দায়ের করেছে। ইতিমধ্যেই তাঁর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছে রাজ্য পুলিশ। দিন কয়েক আগে তো এক বার নাগালে পেয়েও শেষমেশ ব্যর্থ হতে হয় তাদের। এর মধ্যেই বিমল গুরুঙ্গ-সহ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মোট আট নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল সিআইডি।
আরও পড়ুন: কার্শিয়াঙে শান্তি মিছিল তৃণমূলের, গাড়িধূরায় খুলল দোকানপাট
গত ৮ জুন পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকাকালীন গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে তীব্র বিক্ষোভ দেখায় মোর্চা সমর্থকেরা। ওই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুঙ্গ। তার পরেই ৯ জুন দার্জিলিং সদর থানায় বিমল গুরুঙ্গ-সহ বেশ কয়েক জন মোর্চা নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সেই দায়ের হওয়া মামলার ভিত্তিতেই বুধবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে সিআইডি জানিয়েছে। পরোয়ানার ওই তালিকায় নাম রয়েছে বিমল গুরুঙ্গ ও তাঁর স্ত্রী আশা গুরুঙ্গ-সহ প্রকাশ গুরুঙ্গ, রোশন গিরি, অমৃত অঞ্জন, অশোক ছেত্রী, ডি কে প্রধান এবং তিলক রোকারের নাম।
ওই দিন দার্জিলিঙে রাজভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। দুপুরের আগে থেকেই হঠাত্ করে দার্জিলিং অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে মোর্চার তাণ্ডবে। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে চূড়ান্ত তাণ্ডব। বৈঠকস্থল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বের ভানুভবন এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পুলিশ আর মোর্চা সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধে। ইটের ঘায়ে জখম হন অন্তত ৫ জন পুলিশ কর্মী।
আরও পড়ুন: বাইকে চেপেই ট্রেন ধরতে আসবেন গুরুঙ্গ?
এডিজি (উত্তরবঙ্গ)-র দেহরক্ষীর একটি চোখ ইটের ঘায়ে মারাত্মক ভাবে জখম হয়। জখম হন এডিজিও। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ৮টি সরকারি বাস ও গাড়ি। অশান্তি ছড়ায় শহরের অন্যত্রও। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলতেই অনির্দিষ্ট কালের জন্য পাহাড়ে বনধের ডাক দেয় মোর্চা। মুখ্যমন্ত্রী-সহ পুরো মন্ত্রিসভা, রাজ্য পুলিশের ডিজি মুখ্যসচিবরা থাকা সত্ত্বেও কেন এমন পরিস্থিতি হল সেই নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই তদন্তে নামে সিআইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy