সিটের তদন্ত নিয়ে এ দিনও প্রশ্ন তোলেন আনিসের বাবা। তিনি বলেন, ‘‘সিট এই নিয়ে সাত বার বাড়িতে এল। প্রতিবারই টেপ দিয়ে মাপজোক করে চলে যায়। কী তদন্ত হচ্ছে, কিছুই জানতে পারছি না। রামপুরহাট-কাণ্ডেও রাজ্য সরকার সিট গঠন করেছিল।
সালেম খান। ফাইল চিত্র।
ছাত্রনেতা আনিস খানের অপমৃত্যুর তদন্তে ‘লাই ডিটেক্টর টেস্ট’-এর জন্য তাঁর বাবা সালেম খানকে দিল্লি নিয়ে যেতে চায় সিট। কিন্তু সিটের ওই প্রস্তাবে আপত্তি জানালেন বৃদ্ধ।
এক চিত্রগ্রাহককে সঙ্গে নিয়ে শনিবার বিকেলে হাওড়ার আমতার সারদা গ্রামে আনিসের বাড়িতে যান সিটের ছয় সদস্য। ঘণ্টাদুয়েক তাঁরা সেখানে তদন্ত চালান। বিভিন্ন জায়গা মাপকোজ করেন। সালেম তদন্তকারীদের দেখান কী ভাবে আনিসের দেহ পড়েছিল।
সিটের পক্ষ থেকে আনিসের বাবার বয়ান রেকর্ড করা হয়। তারপরেই সিটের সদস্যেরা আনিসের বাবাকে জানান, ‘লাই ডিটেক্টর টেস্ট’-এর জন্য তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে। সালেম রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘‘ওই পরীক্ষা করতে গেলে আমি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ব।’’
সিটের তদন্ত নিয়ে এ দিনও প্রশ্ন তোলেন আনিসের বাবা। তিনি বলেন, ‘‘সিট এই নিয়ে সাত বার বাড়িতে এল। প্রতিবারই টেপ দিয়ে মাপজোক করে চলে যায়। কী তদন্ত হচ্ছে, কিছুই জানতে পারছি না। রামপুরহাট-কাণ্ডেও রাজ্য সরকার সিট গঠন করেছিল। কিন্তু আদালত সিটের ওপর ভরসা না-রেখে সিবিআইয়ের নির্দেশ দিয়েছে। সিটের উপর ভরসা নেই। তাই আমরাও সিবিআই তদন্ত চাইছি।’’ সিটের প্রধান হিসেবে রয়েছেন জ্ঞানবন্ত সিংহ। তাঁকে ইডি-র তলব নিয়েও এ দিন কটাক্ষ করেন সালেম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy