Advertisement
E-Paper

দু’বছর আগে চাকরি গিয়েছে, অভিজিতের জোড়া রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে অঙ্কিতা

প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ২০২২ সালের ১৭ এবং ২০ মে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছেন অঙ্কিতা। এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করে হাই কোর্ট। অঙ্কিতা চ্যালেঞ্জ করেছেন ওই রায়কে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:০৯
A Photograph of ex justice Abhijit Gangopadhyay

প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।

এসএসসি মামলায় আড়াই বছর পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা। হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জোড়া নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছেন তিনি। শীর্ষ আদালতে মন্ত্রীর কন্যা চ্যালেঞ্জ করেছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ২৬ হাজার চাকরি বাতিল রায়কেও। সোমবার তাঁর মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এসএসসি মামলার সঙ্গে শুনানির তালিকায় রয়েছে।

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন অঙ্কিতা। মন্ত্রী-কন্যা বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা করেন চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকার। ওই মামলায় ২০২২ সালের ১৭ মে অঙ্কিতার চাকরি বাতিল করেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে বেতনের টাকাও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর কন্যার চাকরি এবং বেতনের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা পান ববিতা। পরে দেখা যায় তাঁরও নম্বর মূল্যায়নে ভুল রয়েছে। পরে ববিতারও চাকরি চলে যায়। শেষমেশ ওই চাকরি পান আর এক চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়। সেই চাকরি নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। একটি চাকরিকে কেন্দ্র করে চলে দীর্ঘ টানাপড়েন। এখন ওই চাকরি মামলায় প্রাক্তন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ২০২২ সালের ১৭ এবং ২০ মে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছেন অঙ্কিতা। গত বছর ২২ এপ্রিল এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করে হাই কোর্ট। তাতে চাকরি টেকেনি অনামিকার। অর্থাৎ, অঙ্কিতার চাকরি ববিতা এবং তার পরে সেই চাকরি অনামিকা পেয়েছিলেন। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে তা-ও বাতিল হয়ে যায়।

ওই মামলায় ববিতাকে যুক্ত করেছেন অঙ্কিতা। এ ছাড়া মামলায় বিপরীত পক্ষ হিসাবে রাজ্য, এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং শিক্ষা দফতর রয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি অঙ্কিতার আইনজীবী বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমার মক্কেলের চাকরি গিয়েছে। বেতনের ১৫ লক্ষ টাকা জমা করেছি। সেই চাকরি ববিতা সরকারকে দেওয়া হয়েছে। পরে তাঁর চাকরিও বাতিল হয়। তৃতীয় এক জনকে চাকরি এবং টাকা দিতে বলা হয়েছে। হাই কোর্টের রায় নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এই বিষয়টি বিবেচনা করা হোক।’’ ওই দিন শুনানি না হলেও সোমবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলাটি শুনানির তালিকায় রয়েছে।

SSC Ankita Adhikary Babita Sarkar Abhijit Gangopadhyay
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy