খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরে প্রায় ৯ মাস ধরে হন্যে হয়ে তল্লাশি চালিয়েও খোঁজ মেলেনি তার। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা তার খোঁজে মোটা অঙ্কের পুরস্কার মূল্যও ঘোষণা করেছিল। বুধবার গভীর রাতে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে বছর ছাব্বিশের সেই নুরুল হক ওরফে নঈমকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। তদন্তকারীদের দাবি, মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাসিন্দা নঈমের সঙ্গে বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিনের যোগসাযোশ রয়েছে। আজ, শুক্রবার তাকে কলকাতায় এনাইএ-র বিশেষ আদালতে তোলা হবে।
তদন্তে নেমে এনআইএ জানতে পারে, আদপে ডোমকলের বক্সিপুরের বাসিন্দা নঈম জামাতের সক্রিয় সদস্য। ওই মৌলবাদী সংগঠনের হয়ে বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু দিন ধরেই টাকা তুলেছিল সে। এই পর্বে মুর্শিদাবাদের মুকিমনগর এবং বর্ধমানের শিমুলিয়া মাদ্রাসায় অস্ত্র প্রশিক্ষণও হয়েছিল তার।
ওই তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে জানানো হয়েছে, বছর কয়েক প্রশিক্ষণ নিয়ে অস্ত্র চালানো এবং বিস্ফোরণ তৈরিতে এতটাই হাত পাকিয়েছিল নঈম যে, সংগঠনের নব্য সদস্যদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব সঁপে দেওয়া হয়েছিল তার উপরে। বীরভূমের শান্তিপল্লি এলাকায় গোপন ডেরায় এই প্রশিক্ষণ চলত বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা।
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের শেখ রহমতুল্লাহ এবং তালাহ শেখের সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরেই যোগাযোগ রেখে চলছিল সে। এই দু’জনেই গ্রেফতার হয়ে যাওয়ার পরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গা-ঢাকা দিয়ে বেড়াচ্ছিল সে। দিন কয়েক আগে, তদন্তকারীদের কাছে খবর আসে, বুধবার রাতে হাওড়া স্টেশনে আসবে সে। খাগড়াগড় কাণ্ডে অন্য এক অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে স্টেশনে হানা দেয় এনআইএ। ওই অভিযুক্ত দূর থেকে নঈমকে চিনিয়ে দিতেই তাকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy