বদল: ছাগল নয়, খাঁচায় রাখা হয়েছে শুয়োর। —নিজস্ব চিত্র।
খাবারে অরুচি! তাই কি ধরা দিচ্ছে না বাঘ বাবাজি!
ছাগলে কাজ হচ্ছে না। তাই লালগড়ের জঙ্গলে বাঘ ধরতে টোপ বদলে ফেলল বন দফতর। ছাগলের বদলে ফাঁদ-খাঁচায় রাখা হচ্ছে সাদা শুয়োর।
বন দফতর সূত্রের খবর, শালবনির লক্ষ্মণপুর জঙ্গলে শুক্রবার বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছে। গত বুধবার লালগড় রেঞ্জের মেলখেড়িয়া-মধুপুরের জঙ্গলে বাঘের মল পাওয়া গিয়েছিল। বন দফতরের কর্মীরা মোটামুটি নিশ্চিত, লালগড় রেঞ্জের জঙ্গলেই রয়েছে ডোরাকাটা। গত ৩ মার্চ লালগড়ের মেলখেড়িয়া ও মধুপুরের জঙ্গলে তিনটি ফাঁদ-খাঁচা বসানো হয়েছিল। প্রতিটি খাঁচায় একটি করে ছাগল ছিল। কিন্তু সপ্তাহ তিনেক কেটে গেলেও ফাঁদের টোপ গেলেনি বাঘ। বনকর্মীরা মনে করছেন, ছাগলে রুচি না থাকায় বাঘটি ফাঁদ-খাঁচার দিকে যাচ্ছে না। অগত্যা বৃহস্পতিবার তিনটি খাঁচায় ছাগলের বদলে রাখা হয়েছে সাদা শুয়োর।
লালগড় রেঞ্জের জঙ্গলে বেশ কিছু বন শুয়োর রয়েছে। সম্প্রতি একটি ফাঁদ-খাঁচার অদূরে মধুপুর খালপাড়ে বাঘের মলে বনশুয়োরের লোম পাওয়া গিয়েছে। বনকর্মীদের অনুমান, বন শুয়োরের স্বাদে মজেছে জঙ্গলমহলের ‘নয়া হানাদার’। বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী বন শুয়োরের টোপ দেওয়া সম্ভব নয়। তাই রাজ্য বন্যপ্রাণ শাখার নির্দেশে ফাঁদ-খাঁচায় রাখা হচ্ছে সাদা শুয়োর। বন্যপ্রাণ শাখার এক আধিকারিক বলেন, “বাঘের মর্জি বুঝে টোপ বদলে দেওয়া হয়েছে। বাঘটিকে ধরার জন্য সবরকম চেষ্টা হচ্ছে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের আশঙ্কা, বন শুয়োরে যদি বাঘের রুচি হয়ে থাকে, তাহলে খামারের সাদা শুয়োরে কি কাজ হবে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy