Advertisement
E-Paper

পাকড়াও আর এক

এ দিন জামিরুল এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ধৃত মহম্মদ কলিম খানকে (মুন্না) মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে হাজির করা হয়। সেই সময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা আদালতের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ধৃতদের ফাঁসির দাবি তোলেন তাঁরা। আদালত চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৮ ০২:০৩
দুই ধৃত: (বাঁ দিকে) মুন্না, (ডান দিকে) জামিরুল। নিজস্ব চিত্র

দুই ধৃত: (বাঁ দিকে) মুন্না, (ডান দিকে) জামিরুল। নিজস্ব চিত্র

মাজিদ আনসারির উপরে হামলার পরে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তারা ছড়িয়ে পড়েছিল বিভিন্ন জায়গায়। দু’এক জন চলে যায় পড়শি রাজ্য অসমেও। তাদেরই এক জন জামিরুল হক। পুলিশের দাবি, সেখানে খসড়া নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ হওয়ার পরে ভয়ের চোটে সীমানা লাগোয়া বক্সিরহাটে চলে আসে সে। আত্মগোপন করে শিলখাগড়িতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে। পুলিশের দাবি, সেখানে তার মোবাইল টাওয়ারের লোকেশনের সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয় জামিরুলকে। তার আদত বাড়ি কোতোয়ালি থানার পানিশালা এলাকায়।

এ দিন জামিরুল এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ধৃত মহম্মদ কলিম খানকে (মুন্না) মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে হাজির করা হয়। সেই সময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা আদালতের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ধৃতদের ফাঁসির দাবি তোলেন তাঁরা। আদালত চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

সরকারি পক্ষের আইনজীবী ললিত বর্মন জানান, বিচারক অনন্ত বর্ধন ধৃত জানিরুলকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। মুন্না খানকে তেরো দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। জনিরুলের কাছ থেকে বাকি অভিযুক্তদের হদিশ বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। এখনও অভিযোগপত্রে নাম থাকা ৬ জন অধরা। তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করে সরব হন এ দিন আদালতের সামনে জড়ো হওয়া ছাত্রছাত্রীরা। কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, “দু’জন তো গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদেরও খোঁজ চলছে।”

বিক্ষোভ: আদালতের সামনে টিএমসিপি-র জমায়েত। নিজস্ব চিত্র

গত ১৩ জুলাই কোচবিহার স্টেশন মোড়ের কাছে গুলিবিদ্ধ হন কোচবিহার কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাজিদ আনসারি। তিনি টিএমসিপির ওই কলেজ ইউনিটের আহ্বায়ক ছিলেন। ২৫ জুলাই রাতে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। পরের দিন মাজিদের দেহ কোচবিহারে ফিরলে উত্তাল হয়ে ওঠে শহর। ওই ঘটনায় ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত মুন্না খানের বাড়িতেও হামলা হয়। ওই রাতেই মুন্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালত তাঁকে প্রথমে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল।

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোচবিহার জেলার কার্য়করী সভাপতি সায়নদীপ গোস্বামী বলেন, “আমরা চাই বাকি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফ্রতার করা হোক। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক, যাতে আগামীতে কেউ ছাত্র হত্যা না করে।”

Protest Arrest Majid Ansari Coochbehar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy