আবার ডেঙ্গিতে মৃত্যু কলকাতায়। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের। অন্য হাসপাতালে মারা গিয়েছেন প্রৌঢ়াও। তাঁদের মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির উল্লেখ আছে।
মৃতদের নাম পরশ সাউ (৬৩) এবং শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায় (৫৮)। বৃদ্ধ পশ্চিম বড়িশার ঠাকুরপুকুর এলাকার বাসিন্দা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিট নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, গত ২০ সেপ্টেম্বর উল্টোডাঙার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল প্রৌঢ়াকে। সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
রাজ্যে প্রতি দিনই ডেঙ্গিতে কোনও না কোনও মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসছে। সরকার এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি। কিন্তু বেসরকারি হিসাবে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০-এর বেশি। প্রায় প্রতি দিনই ২৫০ থেকে ৩০০ জন করে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গিমৃত্যুর খবর এসেছে।
আরও পড়ুন:
ডেঙ্গি মোকাবিলায় তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকারও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নবান্ন থেকে জেলাশাসক এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ডেঙ্গি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং রোগের সংক্রমণ আটকাতে একাধিক পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকাকে ডেঙ্গি ‘হটস্পট’ হিসাবে চিহ্নিত করে চলছে তৎপরতা। বিভিন্ন কেন্দ্রে ডেঙ্গি পরীক্ষার পরিমাণও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, কলকাতায় ডেঙ্গি অপেক্ষাকৃত বেশি। গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যের নানা প্রান্তে নতুন করে বৃষ্টির দাপট শুরু হয়েছে। এই বৃষ্টিতে ডেঙ্গি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করছে প্রশাসন।