Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Anubrata Mondal

Anubrata Mandal: সাক্ষী হিসাবে ডেকে গ্রেফতার করে সিবিআই! ডিভিশন বেঞ্চে ‘রক্ষাকবচ’ চেয়ে আশঙ্কা অনুব্রতর

বিবেকের পাল্টা যুক্তি, তদন্তের নামে হয়রানি করা হচ্ছে। গত বছর এপ্রিলে সিবিআই নোটিস দিয়েছিল। দু’দিনের মধ্যে তার উত্তর দেওয়া হয়। তার পর ১০ মাস চুপ! এখন আবার জেগে উঠেছে।

গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের গ্রেফতারি এড়াতে হাই কোর্টে  তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল।

গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের গ্রেফতারি এড়াতে হাই কোর্টে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২২ ১৯:৫৩
Share: Save:

সিবিআই সাক্ষী হিসাবে ডাকে তার পর গ্রেফতার করে নেয়! গরু পাচার মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী বিবেক তনখা। বুধবার তাঁর সওয়াল, ‘‘অনেক তদন্তে দেখা গিয়েছে সিবিআই সাক্ষী হিসাবে ডেকে গ্রেফতার করে। এ ক্ষেত্রে সেই অভিসন্ধি না থাকলে আদালতের কাছে তা পরিষ্কার করুক। সিবিআই জানাক শুধু বয়ান রেকর্ড করেই ছেড়ে দেবে। অনুব্রতকে গ্রেফতার করবে না।’’ তবে বুধবারের শুনানিতে সেই নিশ্চিয়তা দেয়নি সিবিআই।

সিবিআইয়ের আইনজীবী এসভি রাজুর বলেন, ‘‘এটা চলতে দেওয়া যায় না। কাউকে তদন্তের জন্য ডাকলে না এসে বার বার আদালতকে ব্যবহার করবে। এটা তখন একটা প্রবণতা হয়ে যাবে। তদন্ত কী ভাবে হবে।’’ বিবেকের পাল্টা যুক্তি, তদন্তের নামে হয়রানি করা হচ্ছে। গত বছর এপ্রিলে সিবিআই নোটিস দিয়েছিল। দু’দিনের মধ্যে তার উত্তর দেওয়া হয়। তার পর ১০ মাস চুপ! এখন আবার জেগে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআই নোটিসে বলছে, কোনও ভয় ছাড়া আসতেই হবে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে ওদের ইচ্ছেটা কী রয়েছে।’’

অনুব্রতর আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘সিবিআই বলছে ২০০ কিলোমিটার দূরে আসুন। শুধু সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য অত দূরে যাওয়ার কী প্রয়োজন রয়েছে। বাড়ির কাছেও তো করা যেত। অনুব্রতর শারীরিক অবস্থা এখন ভাল নয়। শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। চিকিৎসকরা তাঁকে করোনা সংক্রমণ এড়িয়ে চলতে বলেছেন।’’ এর উত্তরে আদালতের সামনে কয়েকটি ছবি তুলে ধরেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তিনি দাবি করেন, ‘‘এই ছবিগুলিতে ভিড় দেখা যাচ্ছে! আর দেখা যাচ্ছে ভিড়ের মধ্যে মাস্ক ছাড়াই বসে রয়েছেন অনুব্রত। কোভিডের ভয় থাকলে মাস্ক ব্যবহার করছেন না কেন! তিনি কলকাতায় আসছেন, অথচ সিবিআই দফতরে আসতে পারছেন না।’’

কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর সওয়াল করেন, ‘‘অনুব্রত এক জন প্রভাবশালী ব্যক্তি। এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রেসক্রিপশনে তাঁকে যে ভাবে সম্বোধন করেছেন তা থেকে পরিষ্কার।’’ এর আগে উচ্চ আদালতের একক বেঞ্চ অনুব্রতর আবেদন খারিজ করে দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। বুধবার এই মামলার রায় ঘোষণা করেনি হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষ হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE