কর্মব্যস্ত: অনুব্রতের সভার আগে। বোলপুরে। নিজস্ব চিত্র
সিউড়ির পাল্টা বোলপুর। বিজেপি-র পাল্টা তৃণমূলের। আজ, বুধবার দুই বড় জনসভা ঘিরে ফের তেতে উঠেছে জেলা।
ব্রিগেডর সমাবেশে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, যেদিনই বিজেপি-র সভা হবে, পাল্টা শাসকদলেরও সভা করতে হবে। আজ, বুধবার সিউড়িতে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বিজেপি-র জনসভা। এই জনসভায় প্রথমে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের আসার কথা থাকলেও তিনি আসতে পারছেন না বলেই বিজেপি সূত্রেরই খবর। তাঁর পরিবর্তে সভায় উপস্থিত থাকছেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ একাধিক নেতা।
বুধবারই বোলপুরে বিজেপি-র পাল্টা সভার ডাক দিয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ডাকবাংলো মাঠে ওই সভা হবে। বিজেপি-র জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় জানিয়েছেন, বুধবারের সভায় মাঠ ভরানোর জন্য পঞ্চাশ হাজার লোকের ‘টার্গেট’ তাঁরা রেখেছেন। অন্য দিকে, বোলপুরের সভায় এক লক্ষেরও বেশি মানুষের সমাগম হবে বলে দাবি করেছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘শুধু মন্দির-মসজিদ করে মানুষের পাশে থাকা যায় না। মানুষ ওদের (বিজেপি) পাশেও নেই। তাই ওরা সভা মাঠ ভরাতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে। হয়তো সে জন্যই ওদের সর্বভারতীয় সভাপতি আসছেন না।’’
এর আগে বিজেপি-র রথ বেরনোর কথা ছিল তারাপীঠ থেকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত রথের পরিকল্পনা বন্ধ। কিন্তু, রথযাত্রার পাল্টার হিসাবে এরই মধ্যে অনুব্রত ব্লকে ব্লকে নামিয়ে দিয়েছেন খোল-করতাল সহ কীর্তন দলকে। এ বার সভার পাল্টা সভাও করছেন। সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের অনেকটা আগে থেকেই বীরভূম জেলার রাজনীতির পারদ চড়তে শুরু করেছে।’’
একই দিনে জেলার প্রধান দুই শহরে দুই যুযুধান রাজনৈতিক দলের সভা থাকায় পরিবহণ ব্যবস্থা কিছুটা হলেও ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। গত শনিবার ব্রিগেড সমাবেশের জন্যও পথে নেমে কিছুটা ভোগান্তি হয়েছে মানুষের। বীরভূম ডিস্ট্রিক্ট বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুজিত কুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘বুধবার ডাকবাংলো মাঠে তৃণমূলের জনসভার জন্য এরই মধ্যে ১২৬টি বাস চাওয়া হয়েছে। আজ পরিবহণ ব্যবস্থা কিছুটা ব্যাহত হতে পারে বলে আমাদেরও আশঙ্কা রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy