অবশেষে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল (কেষ্ট)। বোলপুরের আইসিকে হুমকির ঘটনাকাণ্ডে সাত দিন পর, বৃহস্পতিবার এসডিপিও অফিসে গেলেন তিনি। দুপুর ৩টের একটু পরে তিনি সেখানে যান। প্রায় দু’ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তিনি। বিকেল সাড়ে ৫টার কিছু আগে এসডিপিও-র অফিস থেকে বেরিয়ে সোজা গাড়িতে উঠে যান অনুব্রত।
অনুব্রত এবং বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের কথোপকথনের একটি ‘অডিয়ো ক্লিপ’ গত বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে আইসি-কে গালিগালাজ ও কুকথা বলার অভিযোগ উঠেছিল কেষ্টর বিরুদ্ধে। পরে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ও চান কেষ্ট। একই সঙ্গে ‘চক্রান্তে’র অভিযোগও তোলেন তিনি। পুলিশও মামলা দায়ের করে তাঁকে শনিবার এসডিপিও-র (বোলপুর) দফতরে হাজিরার নোটিস পাঠায়। সেই দিন না-যাওয়ায় তাঁকে দ্বিতীয় নোটিস পাঠিয়ে রবিবার বেলা ১১টায় ফের ওই দফতরেই ডাকা হয়। কিন্তু রবিবারও হাজিরা দেননি অনুব্রত। পরিবর্তে তাঁর আইনজীবী বিপদতারণ ভট্টাচার্য, পলাশ দাস ও অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা তথা ‘সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতি’র রাজ্য সভাপতি দেবব্রত ওরফে গগন সরকার এসডিপিও-র দফতরে যান। অনুব্রত শারীরিক ভাবে ‘অসুস্থ’ ও তাঁকে পাঁচ দিন সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন চিকিৎসক, এমন মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুব্রতের আইনজীবী তদন্তকারী অফিসারকে জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছিল। তার পর বৃহস্পতিবার এসডিপিও অফিসে হাজিরা দিলেন অনুব্রত।
পুলিশ সূত্রে দাবি, অনুব্রতের মোবাইল ফোনটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের দু’টি ফোনও। ‘অডিয়ো-ক্লিপ’-এর কণ্ঠস্বরের নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি। আইসি-র সঙ্গে অনুব্রতের কথোপকথনের ‘অডিয়ো ক্লিপ’ কী ভাবে বাইরে ছড়াল, তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে বীরভূম জেলা পুলিশ। পুলিশ সূত্রেই দাবি, আইসি লিটনের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।