আদালতে এসেও গত সোমবার গোপন জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করেছিল শ্রীনু নায়ডু খুনে ধৃত নন্দ দাস। সে এ-ও দাবি করে যে, শ্রীনু খুনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জড়িত নন। তার এক দিন পর বুধবার দাঁতনের একটি পুরনো ডাকাতির মামলায় নন্দকে গ্রেফতার করতে চেয়ে মেদিনীপুর আদালতে আবেদন জানাল পুলিশ। সেই আবেদন মঞ্জুরও হয়েছে। এই ঘটনায় ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন নন্দর আইনজীবী চন্দন গুহ।
মঙ্গলবারই আদালতের অনুমতি নিয়ে মেদিনীপুর জেলে গিয়ে দাঁতনের ডাকাতির মামলায় নন্দকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তারপরেই এই গ্রেফতারির আবেদন। বুধবার নন্দর আইজীবী চন্দনবাবু অভিযোগ করেন, “নন্দকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। যেহেতু ও শ্রীনু হত্যা মামলায় আদালতে গোপন জবানবন্দি দেয়নি, সেহেতু ওকে অন্য এক ডাকাতির মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবেই এটা করছে।” মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পুলিশ নন্দকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে বলেই অভিযোগ চন্দনবাবুর। যদিও ডাকাতির মামলার সঙ্গে নন্দর যোগ রয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ।
ডাকাতির ঘ়টনাটি কী? পুলিশের এক সূত্রে খবর, গত ১৬ ডিসেম্বর দাঁতনের সোনাকনিয়ার বাইপাটনা এলাকায় শশাঙ্ক রাণা নামে একজনের সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। দুষ্কৃতীরা দু’টি মোটরবাইকে এসেছিল। দাঁতন থানায় লিখিত অভিযোগ জানান ওই ব্যবসায়ী। তদন্তে নেমে অলকেশ মোল্লা ওরফে বাবু খোরা, সফিকুল মোল্লা ও তয়েব মোল্লা নামে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে এম অজয় নামে আরও একজনকে ধরা হয়। তারা চারজনেই এখন জেল হেফাজতে রয়েছে। পুলিশের দাবি, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই দাঁতনের ওই ডাকাতির মামলায় নন্দ-র নাম পাওয়া গিয়েছে।
গত ১১ জানুয়ারি খড়্গপুরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয়েই আততায়ীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল রেলশহরের ‘ডন’। শ্রীনু খুনে আগেই আট জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার খড়্গপুর থেকে ওয়াই বালা নামে আরও এক জন গ্রেফতার হয়েছে। খুনের ছক নিয়ে খড়্গপুরে শেষ বৈঠকে ওয়াই বালা হাজির ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ফলে এই মামলায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ন’জন। ওয়াই বালা ও শ্রীনুর উপর হামলাকারী দলে থাকা গুলিবিদ্ধ সঞ্জয় কুমারকে বুধবার মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয়। তাদের দু’জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এত দিন মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ছিল সঞ্জয়। পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষে বুধবার ঘটনার মূলচক্রী শঙ্কর রাও ও জন ফ্রান্সিসকেও আদালতে তোলা হয়। শঙ্করকে চারদিনের পুলিশি হেফাজত ও ফ্রান্সিসকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy