—প্রতীকী ছবি।
বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া নদিয়ার চাপড়ায় কাঁটাতারের খুব কাছেই মিলল ১০টি এয়ারগান ও সেগুলিকে একনলা বন্দুকে পাল্টে ফেলার যন্ত্রাংশ। বাংলাদেশে পাচারের লক্ষ্যেই সেখানে বন্দুক তৈরি হচ্ছিল বলে পুলিশের অনুমান, যদিও সে ব্যাপারে তারা নিশ্চিত নয়। বুধবার রাত পর্যন্ত কাউকে ধরাও যায়নি।
পুলি়শ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে চাপড়ার আলফা ও বেতবেড়িয়া এলাকার মাঝখানে ফাঁকা এলাকা থেকে ওই বন্দুকগুলি উদ্ধার হয়। আরও কিছু এয়ারগানের খোলা অংশ মিলেছে। অত্যন্ত গোপনে সেখানে বন্দুক জোড়া দেওয়ার কাজ হচ্ছে খবর পেয়ে পুলিশ হানা দিলে, সে সব ফেলে রেখে দুষ্কৃতীরা অন্ধকারে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরবাইকও পাওয়া গিয়েছে। সেটির নম্বর প্লেটের পাশাপাশি ইঞ্জিন ও চেসিসের নম্বরও মোছা হয়েছে, যাতে সেটি থেকে কোনও সূত্র না মেলে। গোটা বিষয়টি পাকা মাথার কাজ বলেই তদন্তকারীরা মনে করছেন।
পুলিশ সূত্রের দাবি, উদ্ধার হওয়া এয়ারগানগুলি উন্নত মানের, এক-একটির দাম ৪০-৫০ হাজার টাকা। সেগুলির কিছু যন্ত্রাংশ পাল্টে ফেলে শক্তিশালী একনলা বন্দুকে রূপান্তরিত করা যায়। ঘটনাচক্রে, আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। পুলিশের একাংশের সন্দেহ, তার আগে সেখানে বন্দুক পাচারের কারবারে নেমে থাকতে পারে দুষ্কৃতীরা। নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ বা সোনার বিস্কুটের মতো রাতের অন্ধকারে সেগুলি কাঁটাতারের উপর দিয়ে ছুড়ে বাংলাদেশে পাঠানো কঠিন নয়। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে বলেন, “সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবটা এখনও স্পষ্ট নয়।”
যেখানে বন্দুক জোড়া লাগানো হচ্ছিল, সেই এলাকা বিএসএফের নজরদারির আওতায় পড়ে। তাদের নিজস্ব গোয়েন্দা শাখাও আছে। তা সত্ত্বেও সেখানে এই কারবার চলছে কী করে? বিএসএফের কৃষ্ণনগর সেক্টর সদরের ডিআইজি সঞ্জয় কুমার বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তাই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy