সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-বিরোধী আন্দোলনের মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সব ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনে সেনা নামানোর হুমকি দিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন! যা থেকে প্রশ্ন উঠেছে, দেশের সেনাবাহিনীকে কি এখন কেন্দ্রীয় সরকারের বদলে ভিএইচপি নিয়ন্ত্রণ করে? তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘সেনাবাহিনী কবে থেকে ভিএইচপি-র ক্যাডার হল, বুঝতে পারছি না! সেনা আমাদের কাছে গর্বের। তাদের কাজ দেশকে রক্ষা করা, বিজেপিকে রক্ষা করা নয়। নিজেদের সঙ্কীর্ণ উদ্দেশ্যের সঙ্গে সেনাকে জড়িয়ে ভিএইচপি তাদের অপমান করছে।’’
গিরিশ পার্কে রাজস্থান বিদ্যামন্দিরের সভাগৃহে সিএএ-র সমর্থনে ভিএইচপি-র সভা ছিল রবিবার। সেখানে সিএএ-র বিরোধিতা করার জন্য মমতা, বাম এবং কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন সুরেন্দ্র। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মমতাজি বলেছিলেন, সিএএ হলে রক্তপাত, গৃহযুদ্ধ হবে। মুসলমানদের বিভ্রান্ত করে আগুন জ্বালানো হচ্ছে। আমি মমতাজি এবং সব ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি, মুষ্টিমেয় লোক নিয়ে গৃহযুদ্ধ হয় না। দেশের সরকার, সেনাবাহিনী এ সবের মোকাবিলা করতে সক্ষম। আর তার পরে তো আমরা আছিই!’’
সুরেন্দ্রের দাবি, মমতা, বাম, কংগ্রেস এবং ছাত্রসমাজ সিএএ-র বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেও তা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের স্বর নয়। হিন্দু-মুসলিম মিলিয়ে দেশের ৭০% মানুষ সিএএ-র পক্ষে। মানুষের এই মনোভাবকে গুরুত্ব না দিলে ভোটে মমতাকে পস্তাতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন সুরেন্দ্র। এর আগে প্রতিবাদের নামে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংস আটকাতে ‘গুলি করে মারা’র নিদান দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ভিএইচপি-র সুরেন্দ্র আরও এক ধাপ এগিয়েছেন!