Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Manik Bhattacharya

কুন্তল, শান্তনুকে চেনেন না, আদালতে ঢোকার মুখে দাবি মানিকের, বললেন, ‘ওঁরাও আমাকে চেনেন না’

বিচার বিভাগীয় হেফাজত শেষে বৃহস্পতিবার সকালে মানিক ভট্টাচার্যকে হাজির করানো হয়েছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালতে। সেখানে ঢোকার মুখেই মানিক দাবি করেন, তিনি শান্তনু, কুন্তলকে চেনেন না।

file image

কুন্তল ঘোষদের চেনেন না বলে দাবি করেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। — ফাইল ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৩ ১৩:৫০
Share: Save:

তিন জনেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য দাবি করলেন, তিনি কুন্তল ঘোষ বা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়দের চেনেন না। বৃহস্পতিবার পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিককে কলকাতা নগর দায়রা আদালতে আনা হয়। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি কুন্তল, শান্তনুদের কাউকে চেনেন না। তাঁরাও তাঁকে চেনেন না বলেও দাবি মানিকের।

গত বছরের ১১ অক্টোবর ইডি গ্রেফতার করেছিল মানিককে। পরবর্তী কালে এই মামলার সূত্রেই গ্রেফতার হন মানিকের স্ত্রী এবং পুত্রও। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, দেশে, বিদেশে মানিকের যত সম্পত্তি আছে তা বাজেয়াপ্ত করার। তদন্তকারী সংস্থা ইডি মনে করছে, প্রাথমিকের চাকরি অবৈধ ভাবে বিক্রি করে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন মানিক। সূত্রের খবর, সত্যিই মানিকের বিদেশে সম্পত্তি আছে কি না তা জানতে ইডি বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

এ দিকে একই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁরাও গ্রেফতার হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিচার বিভাগীয় হেফাজত শেষে বৃহস্পতিবার বিচার ভবনে কলকাতা নগর দায়রা আদালতে হাজির করানো হয় মানিককে। সেই সময় আদালতের বাইরে উপস্থিত সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে কি তিনি চেনেন? প্রথমে হাত নেড়ে তাঁদের চেনেন না বলে জানান মানিক। পরে অবশ্য মুখ খোলেন। বলেন, ‘‘চিনি না কাউকে। ওঁরাও বলেছেন চেনেন না।’’ এ কথা বলেই লকআপের ভিতরে ঢুকে যান পলাশিপাড়ার জেলবন্দি তৃণমূল বিধায়ক।

আদালতে ঢোকার মুখে তিনি কুন্তলদের চেনেন না বলে দাবি করলেও, ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছিল, তারকেশ্বরের ডিএলএড কলেজে ছাত্রভর্তি নিয়ে কুন্তলকে চাপ দিচ্ছিলেন মানিক। কলেজ বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিকের রাগ সামলাতে মানিকেরই ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত তাপস মণ্ডলকে আসরে নামিয়েছিলেন কুন্তল। মানিকের সঙ্গে দূরত্ব মেটাতে তাপসের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ৪ লক্ষ টাকাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE