শপথ নিয়ে নবান্নে যখন মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠক করছেন, সেই সময় শিলিগুড়ি পুরসভার জন্য ফের আর্থিক সাহায্যের দাবি তুললেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। ওই দাবি আদায়ের জন্য তিনি পুরসভার বাম কাউন্সিলরদের নবান্নে পাঠাবেন বলেও জানান।
শুক্রবার পুরসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে মেয়র বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে ৪০ কোটি টাকা আদায়ে অফিসারদের পাঠাব। পরে কাউন্সিলরদেরও বকেয়া আদায়ে পাঠানো হবে। এ ছাড়া আমি নিজে বিধায়ক হিসেবেও মুখ্যমন্ত্রী-সহ অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলে দাবি আদায়ে জোর দেব।’’ তিনি জানান, পুরকর আদায় বাড়ানোর লক্ষ্যেও কাজ হবে। শিলিগুড়িবাসী আমাদের সমর্থন করবেন বলে আশা করছি।’’ তবে কর বৃদ্ধি করলে ফের আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা নান্টু পাল। আগামী ৩০ মে পুরসভার বোর্ড মিটিং হওয়ার কথা। সেখানে মেয়রের ওই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
পুরসভা সূত্রের খবর, এই মূহূর্তে রাজ্যের কাছে পুরসভার প্রায় ৮৩ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। মেয়র জানান, প্রায় ৯০ কোটি টাকার মতো পাওনা ছিল। তার মধ্যে মাত্র সাত কোটি টাকা মিলেছে। বাকি টাকা আদায় করতে হবে পুর এলাকার উন্নয়নের জন্য। এর মধ্যেই বেশ কয়েকটি বিভাগ উন্নয়নের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। কর আদায়ের লক্ষ্যে কিছু বড় ফ্ল্যাট, মার্কেট কমপ্লেক্সকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখনও এই ভবনগুলির মূল্যায়ন করা হয়নি। এগুলির সঠিক মূল্যায়ন করে, তা থেকে কর আদায় করা হবে। এ ছাড়া পরিষেবার উপরে জোর দেওয়া হবে। কমপ্যাক্টর, ক্রেন, ট্রেলর, জলের ট্যাঙ্ক-সহ আরও বুলডোজার কিনবে পুরসভা। আমরা গত এক বছরের ‘পারফরম্যান্স রিপোর্ট’-ও পেশ করব।
যদিও অশোকবাবুকে ব্যর্থ মেয়র বলে দাবি করেছেন নান্টুবাবু। তাঁর নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করা দরকার বলেও জানিয়েছেন নান্টুবাবু। তিনি বলেন, ‘‘আমরা মানুষের উপরে করের বোঝা চাপানোর পক্ষপাতী কোনও সময়ই নই। বাম পরিচালিত পুরসভা উন্নয়ন ও পরিষেবা দিতে ব্যর্থ। ওঁর পদত্যাগ করা উচিত।’’