Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Viral

Viral: পুলিশ বলে চিনতে পারেননি দোকানি, ২০ মিনিট ধরে পেয়ারা বেচলেন মুর্শিদাবাদের এএসপি

বিক্রেতা বলছেন, ‘‘আমি তো চিনতেই পারিনি ওঁকে। বলে গিয়েছিলাম, পেয়ারার ভ্যানের দিকে নজর রাখতে। পরে বুঝতে পারি উনি পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক।’’

মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার

মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২১ ১৬:২৩
Share: Save:

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিক্রি করছেন পেয়ারা! আর সেই ছবিই ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। মুর্শিদাবাদের ব্যস্ত বহরমপুর শহরে সকালে বাজার করতে এসেছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার। তখনই তাঁকে এক পেয়ারা বিক্রেতা বলে ওঠেন, ‘‘দাদা, আমার ভ্যানটি একটু দেখবেন। আমি খেয়ে আসি।’’ আবেদনে সাড়া দেন পুলিশ সুপার। তিনি ভ্যানের দিকে শুধু নজরই রাখেননি, বিক্রিও শুরু করেছেন। খদ্দেররা যাতে ফিরে না যান, তাই নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন দাঁড়িপাল্লা।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা বলছেন, প্রায় কুড়ি মিনিট এ ভাবে দাঁড়িপাল্লায় মেপে পেয়ারা বিক্রি করতে দেখা গিয়েছে পুলিশ সুপারকে। পুরো ঘটনায় অবাক সেই বিক্রেতা। তিনি বলেন, ‘‘আমি প্রতিদিন এই এলাকায় পেয়ারা বিক্রি করি। শনিবার সকালেও দোকান খুলে বসেছিলেন। আমি না চিনেই ওঁকে পেয়ারার ভ্যানটি দেখতে বলি। আমি তখন জানতাম না উনি এতবড় একজন পুলিশ অফিসার। উনি যে নিঃশব্দে আমার দাবি মেনে নেবেন, ভাবতেই পারিনি। তবে আমি খুশি উনি এ ভাবে আমার ভ্যান থেকে পেয়ারা বিক্রি করায়।’’

আরও পড়ুন:

বিক্রেতা ফিরে আসার পর নিজের খেয়ালেই হিসাব বুঝিয়ে চলে গিয়েছিলেন তন্ময়। পরে দেখতে পান তাঁর ভিডিয়ো ও ছবি ভাইরাল হয়েছে। তন্ময় জানান, মাঝেমধ্যেই এ ভাবে পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান তিনি। শহরের যানবাহনের পরিস্থিতি দেখতে দেখতে আর সাধারণ মানুষের মন বুঝতেই শনিবারও বেরিয়েছিলেন। এ ভাবে খবরটি ভাইরাল হবে ববুঝতে পারেননি। খুশি ক্রেতারাও। খোদ পুলিশ কর্তার হাত থেকে পেয়ারা কিনে খেয়ে তাঁদেরও দিনটি স্মরণীয় হয়ে রইল, জানাচ্ছেন অনেকেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE