প্রতীকী ছবি।
মাত্র তিনটি পায়রার জন্য খেসারত এক কোটি টাকা!
১৪ জুলাই অন্ডাল থেকে কলকাতা ওড়ার মুখে পাখির ধাক্কায় জুম এয়ারের বিমানের যে-ক্ষতি হয়, তা সারাতে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে সংস্থা সূত্রের খবর।
গত সপ্তাহেও কলকাতা থেকে ব্যাঙ্ককের পথে পাখির ধাক্কা লাগে ইন্ডিগোর এয়ারবাসের সঙ্গে। বিমান নিয়ে ফিরে আসেন পাইলট। রানওয়ে থেকে একটি পাখির দেহও পাওয়া যায়। ব্যাঙ্ককের যাত্রীদের অন্য বিমানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিকেলে বিমানটি সারিয়ে দিল্লি উড়ে যায়। ইন্ডিগোর খবর, এ ক্ষেত্রে তেমন বড়সড় ক্ষতি হয়নি। তবে বছরখানেক আগে কলকাতাতেই পাখির ধাক্কায় তাদের একটি বিমানের এমন ক্ষতি হয়েছিল যে, গোটা ইঞ্জিন বদলে ফেলতে হয়েছিল। ক্ষতির অঙ্ক কয়েক কোটি ছুঁয়েছিল। বিদেশ থেকে ইঞ্জিন আনাতে হয়েছিল। বিমানটি বসিয়ে রাখতে হয় কয়েক দিন।
ইন্ডিগোর তুলনায় জুম অনেক ছোট সংস্থা। পায়রার ধাক্কায় তাদের ক্ষতি সামলাতে সময় লাগবে। সংস্থার সিইও এবং এমডি কৌস্তুভ ধর জানান, অন্ডালে সে-দিন তাঁদের ৫০ আসনের সিআরজে ২০০ বিমান ওড়ার মুখে সামনে চলে আসে পায়রার ঝাঁক। ডান দিকের ইঞ্জিনে একসঙ্গে তিনটি পায়রা ঢুকে যায়। বেঁকে যায় ইঞ্জিনের ভিতরের ব্লেড। অন্ডালে বেশ কিছু দিন বসে থাকে বিমানটি। ইঞ্জিনিয়ারেরা কোনও মতে সারিয়ে সেটি নিয়ে দিল্লি উড়ে যান। দিল্লিতে কয়েক দিন রক্ষণাবেক্ষণের পরে ডিজিসিএ থেকে সেটি ওড়ার অনুমতি পায়। সব মিলিয়ে ১৪০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ হয়।
৮ অগস্ট কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরুর পথে ইন্ডিগোর বিমানের সঙ্গে এবং শিলচরের পথে জেটের বিমানের সঙ্গে পাখির ধাক্কা লাগে। দু’টি সংস্থারই বড় আর্থিক ক্ষতি হয়।
বিমানবন্দরে এক দল কর্মী চকলেট বোমা ফাটিয়ে ‘পাখিতাড়ুয়া’র কাজ করেন। এ ছাড়াও ‘জোন-গান’ নামে একটি যন্ত্র বসানো আছে। তা থেকে বোমা ফাটার মতো আওয়াজ বেরোয়। পাখিদের পছন্দ হয় না, এমন শব্দ করে একটি যন্ত্র। তা সত্ত্বেও পাখি আটকানো যাচ্ছে না। তার জন্য বিমানবন্দরের বাইরের পরিবেশের দিকে আঙুল তুলেছেন কর্তারা।
বিমানবন্দরে ঘাস কাটলে ছোট ছোট পোকা, ব্যাঙ, কেঁচো বেরোয়। তা দেখেও পাখি আসে। বিমানবন্দরের অধিকর্তা অতুল দীক্ষিত জানান, ঘাস কাটার সময়ে ওষুধ ব্যবহার করে ফল মিলেছে। কী ভাবে পাখির সমস্যা কমে, তা নিয়ে সমীক্ষা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy