অস্থিকলস যাত্রায় যোগ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। রয়েছেন আরও অনেক বিজেপি নেতা-কর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।
গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে রওনা হয়ে গেল অটলবিহারী বাজপেয়ীর অস্থিকলস। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু হল দলের প্রাদেশিক সদর দফতর থেকে। হাজরার কাছে অস্থিকলস যাত্রায় যোগ দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। শহরের সীমানা ছাড়ানোর আগেই বিভিন্ন মোড়ে লোকজন ভিড় জমালেন অস্থিকলসে শ্রদ্ধা জানাতে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ বিজেপির রাজ্য দফতর থেকে রওনা হওয়ার কথা ছিল দিলীপ ঘোষদের। তবে গোটা রাজ্য নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে যাত্রা শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তাই কিছুটা দেরিতেই শুরু হয় অস্থিকলস যাত্রা। ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ রওনা হন দিলীপ ঘোষরা। ছিলেন মুকুল রায়, রাহুল সিংহ, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য বিজেপির প্রায় সব শীর্ষনেতাই।
বিজেপি সদর দফতর থেকে অটলবিহারী বাজপেয়ীর অস্থিকলস নিয়ে বিজেপি নেতারা এ দিন সর্বাগ্রে যান দক্ষিণ কলকাতায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বাসভবনে। জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠা শ্যামাপ্রসাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তথা প্রিয়পাত্র ছিলেন অটল। যে কাশ্মীর যাত্রা শ্যামাপ্রসাদের শেষ রাজনৈতিক সফরে পরিণত হয়েছিল, সেই যাত্রাতেও শ্যামাপ্রসাদের সঙ্গী ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। এ হেন বাজপেয়ীর চিতাভস্মের পাত্র গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথে ছুঁয়ে গেল শ্যামাপ্রসাদের বাড়ি— এমন একটা মুহূর্ত বিজেপির সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের জন্য অত্যন্ত আবেগঘন ছিল।
আরও পড়ুন: তৃণমূল অফিসে বিস্ফোরণ, মৃত ১, আশঙ্কাজনক ২, কারণ কি মজুত বোমা? চাঞ্চল্য নারায়ণগড়ে
হাজরার কাছে অস্থিকলস যাত্রায় যোগ দেন মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য স্মৃতি ইরানি। কলকাতায় এসে তিনি আর দলীয় কার্যালয়ে যাননি। সরাসরি পৌঁছে যান হাজরা।
বাজপেয়ীর চিতাভষ্ম নিয়ে দিলীপ ঘোষদের এই যাত্রা হাজরার পরে তারাতলা হয়ে ডায়মন্ড হারবারের দিকে রওনা হয়ে যায়। অটলের চিতাভস্মের পাত্র নিয়ে বিজেপির এই মিছিল দেখার জন্য বিভিন্ন মোড়ে উৎসাহী জমায়েত ছিল সকাল থেকেই। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও রাস্তায় নেমেছিলেন।
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিকেল নাগাদ হারউড পয়েন্টে পৌঁছে যাবে অস্থিকলস যাত্রা। সেখান থেকে নদী পেরিয়ে সাগরে পৌঁছবে বাজপেয়ীর অস্থিকলস। দিলীপ, মুকুল, রাহুল, রূপা, লকেট-সহ রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির প্রায় সব নেতা-নেত্রীই অস্থিকলসের সঙ্গে সাগরে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁরা সাগরেই থাকবেন। শুক্রবার সকালে গঙ্গার মোহনায় প্রয়াত নেতার অস্থি বিসর্জন দিয়ে কলকাতায় ফিরবেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy