যাদবপুরে এটিএম মেশিনে কারসাজি করে গ্রাহকদের টাকা লুট নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই এটিএমে ডাকাতির ঘটনা ঘটে গেল হাওড়ায়। গ্যাস কাটার দিয়ে মেশিন কেটে ১৬ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা! ঘটনার তদন্তে নেমে দুষ্কৃতীদের গাড়িটি আটক করেছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। কিন্তু লুট হওয়া টাকা এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
শনিবার ভোরে হাওড়ার আন্দুল রোডের ধারে আলমপুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের একটি এটিএম লুট করে দুষ্কৃতীরা। গ্যাস কাটার দিয়ে মেশিন কেটে সব টাকা নিয়ে চম্পট দেয় তারা। যাওয়ার আগে এটিএমে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। সকালে স্থানীয়েরা দেখেন, এটিএম মেশিন ভাঙা। ভাঙা অংশ রাস্তায় পড়ে রয়েছে। সিসি ক্যামেরাও ভাঙা।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ এবং হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা। পৌঁছে যান ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞেরা। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্যাঙ্কের আধিকারিকদেরও খবর দেওয়া হয়েছে। কত টাকা খোয়া গিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ব্যাঙ্কের আধিকারিকেরা এলেই তা জানা যাবে। তবে পুলিশের একটি সূত্রে দাবি, অন্তত ১৬ লক্ষ টাকা লুট হয়েছে।
পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠি বলেন, ‘‘যে গ্যাং এই কাজ করেছে, তাদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাদের গাড়িটি আটক করা হয়েছে। টাকা লুট হলেও তার পরিমাণ জানা যায়নি।’’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে কলকাতার যাদবপুর সংলগ্ন সার্ভে পার্ক থানা এলাকার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের কাছে একটি এটিএমে জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে বলাই সর্দার নামে এক ব্যক্তি ওই এটিএমে গিয়েছিলেন টাকা তুলতে। কিন্তু মেশিনে কার্ড আটকে যাওয়ায় টাকা না তুলেই বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। বাড়ি ফিরেই মাথায় হাত পড়ে বলাইয়ের। দেখেন, দফায় দফায় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও। বলাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্তে নামে। তারা জানতে পারে, শুধু বলাই নন, আরও অনেকেরই টাকা এ ভাবেই এটিএম থেকে হাওয়া হয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে ওই এটিএম থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়েছেন জালিয়াতেরা।