বাবাসাহেব অম্বেডকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয়। — ফাইল চিত্র।
বাবা সাহেব অম্বেডকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটি অর্থাৎ রাজ্যের বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ শিক্ষা দফতর। তার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ওই তদন্ত করতে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান (অ্যাকাডেমিক) আশুতোষ ঘোষকে নিয়ে একটি এক সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সাত দিনের মধ্যে তাকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও সেই সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে। যেহেতু এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া হয়েছে, তাই তদন্ত ঢিমেতালে করা হচ্ছে বলে সূত্রের দাবি।
উল্লেখ্য, উচ্চ শিক্ষা দফতরের সিনিয়র বিশেষ সচিবের স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশে বলা হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ বিএড কলেজগুলিকে অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক অনিয়মের বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। সেই অনিয়মের যথাযথ ব্যবস্থা কেন নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়, তা খতিয়ে দেখতেই ওই তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছিল। বলা হয়েছে, উপাচার্যের আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল।
বৃহস্পতিবার বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ্যপাল মনোনীত অন্তর্বর্তী উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এর আগে এই বিষয়গুলি সুপ্রিম কোর্ট এবং কলকাতা হাই কোর্টে সমাধান হয়ে গিয়েছে। উচ্চ শিক্ষা দফতর নো অবজেকশন পর্যন্ত দিয়েছে। এই চিঠি পেয়ে আমরা বিস্মিত। আমরা কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।”
উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে রাজ্যের ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজে অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা, ছাত্রছাত্রীদের তুলনায় কম শিক্ষক। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকা - এই সব পরিকাঠামো না থাকায়, তাদের প্রথমে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এরপর আদালতের নির্দেশে ধাপে ধাপে সময় বাড়িয়ে ওই সব কলেজকে অনুমোদন দেওয়া শুরু হলেও ৫০টি কলেজ এখনও অনুমোদন পায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy