Advertisement
E-Paper

ব্যারাজ তরজায় রাজীব ও বাবুল

মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুরের সগরভাঙ্গায় একটি মন্দিরের উদ্বোধনে এসে বাবুল সুপ্রিয় পাল্টা বলেন, ‘‘এটা রাজনীতি করার সময় নয়। রাজ্য সরকার অহেতুক ডিভিসি-কে চাপ দিচ্ছে। সেচমন্ত্রী অবিবেচকের মতো কথা বলছেন। এখন রাজনীতি না করে মানুষের অসুবিধার দিকটা দেখা উচিত।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৪৪
বাবুল সুপ্রিয় ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাবুল সুপ্রিয় ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

এক জন কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। অন্য জন দোষ চাপালেন রাজ্যের ঘাড়ে। দুর্গাপুর ব্যারাজের লকগেট-বিপত্তি নিয়ে কাজিয়ায় জড়িয়ে পড়লেন আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

গত শুক্রবার দুর্গাপুর ব্যারাজের ১ নম্বর গেট বেঁকে ব্যারাজের জল বেরিয়ে যেতে থাকে। সব জেল বের করে রবিবার সকাল পর্যন্ত তা মেরামত করা হয়। ফলে তিন দিন ধরে শিল্পশহরে পানীয় জলের আকাল দেখা দেয়। রবিবার বিকেলে ব্যারাজ পরিদর্শনে এসে সেচমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যের বহু প্রকল্প কেন্দ্রের ছাড়পত্র পাচ্ছে না। ছাড়পত্র পাওয়া প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দও করছে না। তাই কেন্দ্রের ভরসায় বসে না থেকে রাজ্য নিজেই তিস্তার মতো দুর্গাপুর ব্যারাজের কাজেও হাত দেবে।

মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুরের সগরভাঙ্গায় একটি মন্দিরের উদ্বোধনে এসে বাবুল সুপ্রিয় পাল্টা বলেন, ‘‘এটা রাজনীতি করার সময় নয়। রাজ্য সরকার অহেতুক ডিভিসি-কে চাপ দিচ্ছে। সেচমন্ত্রী অবিবেচকের মতো কথা বলছেন। এখন রাজনীতি না করে মানুষের অসুবিধার দিকটা দেখা উচিত।’’

বুধবার দুর্গাপুরে ব্যারাজের পরিস্থিতি দেখতে এসেছিলেন রাজীববাবু। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি দাবি করেন, কেন্দ্র গুজরাত, বিহার-সহ বিভিন্ন রাজ্যকে সামান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগেও বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ দিয়েছে। বঞ্চিত শুধু পশ্চিমবঙ্গ। বাবুলের উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘উনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, এই এলাকার সাংসদও। কিন্তু, কাজের কাজ না করে হাওয়া গরম করার জন্য বক্তব্য রাখছেন! জলসম্পদ মন্ত্রীর সঙ্গে দরকার হলে ঝগড়া করে টাকা নিয়ে আসুন! সে’সব নিয়ে তাঁর ভাবার সময় নেই।’’ ডিভিসি-র দুর্গাপুর ব্যারাজ সংস্কার কে করবে তা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের কাজিয়া দীর্ঘদিনের। রাজ্যের দাবি, ব্যারাজ সংস্কারের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রকে বার বার চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র সাড়া দেয়নি। অন্য দিকে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রী উমা ভারতী সম্প্রতি দুর্গাপুরে এসে জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকার এমন কোনও চিঠি দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই রাজ্যকে ব্যারাজ সংস্কারের দায়িত্ব নিতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন সেচমন্ত্রী।

Durgapur Babul Supriyo Rajib Banerjee বাবুল সুপ্রিয় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy