বাঁ দিকে বাবুল সুপ্রিয় ও ডান দিকে সুকান্ত মজুমদার
আসানসোল ও বালিগঞ্জ দুই উপনির্বাচনেই লজ্জাজনক পরাজয় ঘটেছে বিজেপির। তার উপর বালিগঞ্জে জামানত জব্দ হল। নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই কেন্দ্রে মোট প্রদত্ত ভোটের এক ষষ্ঠাংশ ভোটও পাননি বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ। অর্থাৎ, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তিনি যে অর্থ জমা রেখেছিলেন, তা আর তিনি ফেরত পাবেন না। জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থীরও।
বালিগঞ্জে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় পেয়েছেন ৫১ হাজার ১৯৯ ভোট। যা মোট প্রদত্ত ভোটের ৪৯.৬৯ শতাংশ। এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। বাম প্রার্থী সায়রা হালিম পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯৭১ ভোট। যা মোট ভোটের ৩০.০৬ শতাংশ। আর কেয়া পেয়েছেন ১৩ হাজার ২২০ ভোট। যা মোট প্রদত্ত ভোটের এক-ষষ্ঠাংশ নয়। ১০ হাজারের গণ্ডিই টপকাতে পারেননি তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা কংগ্রেস প্রার্থী কামারুজ্জমান চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ২১৮টি ভোট।
গেরুয়া শিবিরের জামানত জব্দ হওয়া নিয়ে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘এমনিতেই বালিগঞ্জে আমাদের ঠিক করে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। ভয়ে আমাদের ভোটাররা বুথেই যেতে পারেননি। তা ছাড়া একুশের নির্বাচনে প্রবল হাওয়াতেও বালিগঞ্জে আমরা ভোট পেয়েছিলাম মাত্র ৩০ হাজার। বালিগঞ্জ আমাদের জন্য দারুণ সিট কখনই ছিল না। ওখানে সংখ্যালঘু ভোট ৪২ শতাংশ। যাঁরা আমাদের ভোট দেন না। তৃণমূল থেকে সরে এখন তাঁরা সিপিএম, কংগ্রেসকে ভোট দিচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy