মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (বাঁ দিকে)। শেখ হাসিনা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
এ বছরও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আম উপহার পাঠালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি সূত্রে খবর, মমতাকে ৬০০ কেজি হিমসাগর এবং ল্যাংড়া আম পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সোমবারই যশোরের বেনাপোল বন্দর-হরিদাসপুরে হয়ে উপহারের আম পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রীর কলকাতার কালীঘাটের বাড়িতে।
প্রতি বছরই আমের মরসুমে ‘বোন’ মমতাকে উপহার পাঠান হাসিনা। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই রকম উপহার পাঠিয়ে থাকেন প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী। আবার মুখ্যমন্ত্রীও নানা সময়ে উপহার পাঠিয়ে থাকেন। যেমন পুজোর সময় তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে শাড়ি উপহার পাঠিয়েছিলেন। বর্ষার মরসুমে পদ্মার ইলিশও আসে ভারতে। যদিও তা বাণিজ্যিক পথেই আদানপ্রদান হয়ে থাকে।
মমতা-হাসিনার সম্পর্ক বরাবরই ভাল। গত বছরের সেপ্টেম্বরে হাসিনার ভারত সফরে কেন বাংলা ‘ব্রাত্য’ তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রকে তোপ দেগেছিলেন তিনি। এর পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য ছিল, ‘‘মমতা আমার বোনের মতো এবং আমরা যে কোনও সময় দেখা করতে পারি। কিছু সম্পর্ক রাজনীতির ঊর্ধ্বে হয়, ব্যক্তিগত। যেমন গান্ধীদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক।’’
আবার মমতাও বিভিন্ন সময়ে তাঁর সঙ্গে হাসিনার ভাল সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘হাসিনাজির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভীষণ ভাল। পুজোর সময় আমরা ওঁকে শাড়ি পাঠাই। ইদের সময় শাড়ি পাঠাই। উনি আম পাঠান, ইলিশ পাঠান।’’ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার লেনদেন চলতেই থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ৬০০ কেজি আম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী করবেন? মমতার ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, তিনি এই উপহার আবার অনেককে পাঠিয়ে দেন। সেই তালিকায় তাঁর দলের নেতারা যেমন থাকেন, তেমনই আমলা এবং অন্যান্য ঘনিষ্ঠও রয়েছেন।
এর আগেও মমতাকে বিশেষ হাঁড়িভাঙা আম পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। গত বছর প্রধানমন্ত্রী মোদীকেও বন্ধুত্বের উপহার হিসেবে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো হয়েছিল আম। দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক যে ভাল তারই বহিঃপ্রকাশ, এই আম-কূটনীতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy