Advertisement
E-Paper

স্থলপথ বন্ধ হতেই, সুন্দরবনে আনাগোনা বাড়ছে বাংলাদেশি জাহাজের, উদ্বিগ্ন প্রশাসনিক কর্তা থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা

পণ্য আমদানি বা রফতানির জন্য জাহাজের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত সুন্দরবনের মানুষ।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২৫ ০৩:০১
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের জলপথ যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম সুন্দরবনের নদী পথ।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের জলপথ যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম সুন্দরবনের নদী পথ। —নিজস্ব চিত্র।

সড়ক পথে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত রেখেছে ভারত সরকার। এখনও উন্মুক্ত রয়েছে জলপথ। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের জলপথ যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম সুন্দরবনের নদী পথ। আন্তর্জাতিক এই জলপথ ব্যবহার করেই প্রতিনিয়ত বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ যাতায়াত করে। গত কয়েকদিনে সেই জাহাজ চলাচলের সংখ্যাটা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। পণ্য আমদানি বা রফতানির জন্য জাহাজের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত সুন্দরবনের মানুষ। পাশাপাশি অতিরিক্ত জাহাজ চলাচলের কারণে নদী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলেও দাবি প্রশাসনের আধিকারিকদের। জাহাজ চলাচল বৃদ্ধির জন্য জলদূষণ ও তার কারণে জলজ প্রাণীদের মৃত্যু বাস্তুতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলছে বলেও দাবি অনেকের। বিভিন্ন আশঙ্কার কথা জানিয়ে জলপথে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।

পণ্য আমদানি বা রফতানির আড়ালে যাতে কোনও রকম সন্ত্রাসী কার্যকলাপ না হয় ও বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকতে না পেরে সেদিকে নজর রাখছে পুলিশ ও বিএসএফ। তবে বিএসএফের চোখ এড়িয়ে বার বার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অভিযোগ, ‘করিডোর’ হিসেবে সুন্দরবনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। দালালদের হাত ধরে বাংলাদেশের খুলনা, বাখেরহাট-সহ একাধিক এলাকা থেকে সম্প্রতি অনুপ্রবেশ ঘটেছে সুন্দরবনে। সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের তৎপরতায় ধরাও পড়েছেন অনেকে। এই ধরনের জঙ্গি আনাগোনা বা অনুপ্রবেশ যাতে আর না ঘটে সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। বিশেষ সতর্ক পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্তারা।

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ক্যানিং থেকে তেহেরিক-উল-মুজাহিদিনের সদস্য এক কাশ্মীরি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। সুন্দরবনের জলপথ ব্যবহার করে বাংলাদেশ হয়ে পাকিস্তানে পালানোর ছক কষেছিল সেই জঙ্গি, এমনটাই দাবি ছিল গোয়েন্দা দফতরের। সেই ঘটনার পর থেকে নজরদারি বেড়েছিল সুন্দরবন এলাকায়। পরবর্তী কালে অবশ্য নজরদারিত শিথিল হয়েছিল বলে অভিযোগ। পহেলগাঁওতে পাকিস্তানি জঙ্গি হামলার পরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

Security Border
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy