বিকোচ্ছে বিশালাকার মিষ্টি। —নিজস্ব চিত্র।
এক-আধ কেজি নয়, রসে ডোবার পরে এক-একটি রসগোল্লার ওজন ছাড়িয়ে যাচ্ছে পাঁচ কেজি। পেল্লায় আকারের এমন রসগোল্লা মিলছে কালনার নান্দাইয়ের হাতিপোতা গ্রামের দেবদাস স্মৃতিমেলায়।
পূর্বস্থলী ১ ব্লকের দোগাছিয়ায় দোল উৎসব, শ্রীরামপুরে কৃষি ও লোকসংস্কৃতি উৎসব-সহ নানা মেলায় মেলে বড় মিষ্টি। বহু গ্রামে ঝাপান-সহ বেশ কিছু উৎসবে অতিথি আপ্যায়ন হয় বড় আকারের রসগোল্লায়। তবে সে সবের থেকেও বড় রসগোল্লা দেখা যাচ্ছে এ বার হাতিপোতার মেলা। উৎসব প্রাঙ্গণের কাছে বাঁশ-ত্রিপলের ছাউনিতে তৈরি মিষ্টির দোকানে লাইন দিয়ে সাজানো বড়-বড় গামলায় রয়েছে বিশালাকার নলেন গুড়ের মিষ্টি। সেগুলির পাশে সাঁটানো স্টিকারে লেখা রয়েছে দাম। কোনওটির হাজার টাকা, কোনওটির ৫০০, আবার কোনওটির ২০০ টাকা দামে বিকোচ্ছে।
তবে দোকানদারেরা জানান, হাজার টাকা দামের রসগোল্লা বিক্রি করার সময়ে তা গামলা থেকে তুলতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। বড় কোনও পাত্রে তা দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের। দাম বেশি হলেও বড় মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে ভালই। বিক্রেতারা জানান, হাজার টাকার রসগোল্লায় ব্যবহার করা হচ্ছে আড়াই কেজি ছানা-সহ নানা উপকরণ। ৫০০ টাকার মিষ্টির ক্ষেত্রে এক কেজি, ২০০ টাকার ক্ষেত্রে ৫০০ গ্রাম ছানা ব্যবহার করা হচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে খাঁটি নলেন গুড়।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রতি বছর মেলায় মিষ্টির আকার বাড়ানো হয়। গত বছর ৫০০ টাকা পর্যন্ত দরের মিষ্টি বিক্রি হয়েছিল। প্রতি বছর মিষ্টির দোকান করেন গ্রামের পাঁচ যুবক হাবিরুল মণ্ডল, জাইরুল মোল্লা, সফের শেখ, নাজির মণ্ডল ও মহবত শেখ। তাঁদের দাবি, প্রতি বছরই মেলায় আসা মানুষজনের মধ্যে বড় মিষ্টির চাহিদা থাকে। এ বার ২০০০ টাকা পর্যন্ত রসগোল্লা তৈরির চেষ্টা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হাজার টাকার করা হয়। মেলা প্রাঙ্গণেই মিষ্টি তৈরি করা হয়।
মেলা কমিটির তরফে আরজেদ শেখ বলেন, ‘‘উৎসবের দিনগুলিতে এলাকার সকলে মজে থাকেন এই রসগোল্লায়। আকারে যত বড় হোক না কেন, ক্রেতার অভাব হয় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy