Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
BJP

গাড়িতে অস্ত্র, ধৃত বিজেপি নেতা-সহ চার 

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ধনেখালির দশঘরা-২ পঞ্চায়েতের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি আশিস দাস। মহাদেব সোরেন, বাপন মালিক ও সুকুমার রায় নামে ধৃত বাকি তিন জনও বিজেপির কর্মী হিসাবে পরিচিত।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
ধনেখালি ও জামালপুর শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:১১
Share: Save:

বোমা-সহ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘোরার অভিযোগে হুগলির ধনেখালির চার বিজেপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে জামালপুরের মহিষগড়িয়া এলাকা থেকে তাঁদের ধরা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ধনেখালির দশঘরা-২ পঞ্চায়েতের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি আশিস দাস। মহাদেব সোরেন, বাপন মালিক ও সুকুমার রায় নামে ধৃত বাকি তিন জনও বিজেপির কর্মী হিসাবে পরিচিত। তাঁদের গাড়ি থেকে একটি পাইপগান, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, গোটা চারেক বোমা, তরোয়াল ও তির-ধনুক মিলেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ডাকাতির উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিল অভিযুক্তেরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১টা নাগাদ দশঘরা-খানপুর রোড হয়ে জামালপুরের দিকে আসছিল আশিসদের গাড়ি। সেটিতে ছ’জন আরোহী ছিল। রাতে টহলে বেরনো জামালপুর থানার পুলিশের গাড়ি দেখতে পেয়ে ওই গাড়িটি বাঁক ঘুরিয়ে অন্য পথ ধরে পালানোর চেষ্টা করে। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকর্মীরা গাড়িটিকে ধাওয়া করে আটকান। তার মধ্যে দু’জন গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায়। আশিস-সহ বাকি চার জন ধরা পড়ে যান। গাড়িটিতে তল্লাশি চালাতেই অস্ত্রশস্ত্র মেলে। গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা গয়েছে। ধৃতদের বুধবার বর্ধমান আদালতে হাজির করানো হয়। সিজেএম রতনকুমার গুপ্ত তাঁদের ৪ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ধৃতদের জেরা করে পলাতক দু’জনের খোঁজ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ দিন আদালতে যাওয়ার পথে আশিস অবশ্য দাবি করেন, তাঁর কাছে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না। তাঁর সঙ্গী বাপন মালিকের কাছ থেকেই সব কিছু পাওয়া গিয়েছে।

বিজেপি নেতা-কর্মী গ্রেফতারের ঘটনায় হুগলিতে রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। ধনেখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রের অভিযোগ, ‘‘বিজেপির উপরতলার নেতারা কর্মীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিচ্ছেন এলাকাকে অশান্ত করার জন্য। বন্দুক, বোমা দিয়ে মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করাই ওদের কাজ।’’

দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি মধুসূদন দাস। তাঁর দাবি, ‘‘যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে অত্যন্ত লড়াকু ছেলে। মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। অস্ত্র, গাঁজা তো এখন সর্বত্রই পাওয়া যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Arms
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE