Advertisement
E-Paper

অসুস্থ ৬২ স্কুল পড়ুয়া, ক্ষোভ

প্রাথমিক স্কুলের অসুস্থ পড়ুয়ার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬২। বুধবার রাত পর্যন্ত কালনা ১ ব্লকের বাঘনাপাড়া বগলাদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে কী কারণে এত জন একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়েছে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি প্রশাসন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৩৮
কালনা হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র

কালনা হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র

প্রাথমিক স্কুলের অসুস্থ পড়ুয়ার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬২। বুধবার রাত পর্যন্ত কালনা ১ ব্লকের বাঘনাপাড়া বগলাদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে কী কারণে এত জন একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়েছে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি প্রশাসন। হাসপাতালের দাবি, খাবারের বিষক্রিয়া থেকেই এমনটা হয়েছে।

এই স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৫৬। বাঘনাপাড়া এবং বিজেরা এলাকার ছেলেমেয়েরাই মূলত আসে এখানে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেল থেকেই জ্বর, বমি, মাথা যন্ত্রণা, পায়খানা শুরু হয় পড়ুয়াদের। বিকেল পাঁচটা নাগাদ পাঁচ জনকে ভর্তি করানো হয়। ক্রমেই বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। অভিভাবকদের পাশে দাঁড়াতে রাতেই হাসপাতালে যান রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, কালনার মহকুমাশাসক নিতীশ ঢালি, পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ, বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। হাটকালনা পঞ্চায়েত থেকে দুটি, মহকুমা হাসপাতাল থেকে দুটি এবং আটঘোরিয়া সিমলন পঞ্চায়েত এলাকা থেকে একটি অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করে অসুস্থ ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের হাসপাতালে নিয়ে আসার কাজ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালেও কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়। হাটকালনা পঞ্চায়েতের প্রধান শুভ্র মজুমদার বলেন, ‘‘বুধবার রাত থেকেই অসুস্থ শিশুদের পাশে রয়েছি। ওরা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতাল ছাড়ব না।’’

এ দিন স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে এক জন মাত্র ছাত্র এসেছে। যারা সুস্থ রয়েছে তারাও আতঙ্কে স্কুলে আসেনি। বন্ধ রয়েছে মিড-ডে মিল। অভিভাবকদের একাংশের দাবি, মিড-ডে মিল খেয়েই অসুস্থ হয়েছে ছেলেমেয়েরা। আবার অনেকের দাবি, মিড-ডে মিল খাওয়ার পরে একটি আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছিল। সেটি খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েছে পড়ুয়ারা। অভিভাবক স্বপন মালিক, গোপাল দাসদের ক্ষোভ, মিড-ডে মিলের খাবার যত্ন নিয়ে পরিষ্কার ভাবে রান্না, পরিবেশন করা উচিত। সবসময় তা হয় না। স্কুলের উচিত এ দিকতে নজর দেওয়া।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রীতিশ চৌধুরী বলেন, ‘‘গচ বছর জানুয়ারি থেকে ধারবাহিক ভাবে ছাত্রছাত্রীদের আয়রন ট্যাবলেট খওয়ানো হচ্ছে। মনে হয় না, তা থেকে কিছু হয়েছে। তবে মিড-ডে মিলের খাবারের থেকে হয়েছে কি না দেখতে হবে।’’ মহকুমাশাসক জানান, স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল ওই স্কুলে গিয়েছে। মিড-ডে মিল এবং পানীয় জল থেকে কোনও বিষক্রিয়া হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মহকুমা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই বলেন, ‘‘অসুস্থ ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা করে আমাদের ধারণা খাবারে কোনও বিষক্রিয়া হয়েছিল। তবে আপতত ছাত্রছাত্রীরা সুস্থ রয়েছে। দ্রুত কয়েকজনকে ছুটিও দেওয়া হবে।’’

Students Mid Day Meal Scheme Kalna
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy