Advertisement
E-Paper

মেমারির ব্যাঙ্কের ভল্ট থেকে হাওয়া ৮৪ লক্ষ টাকা, ধৃত কর্মী

ওই শাখার ম্যানেজার দেবাশিস মিদ্যা, রিজিওনাল ম্যানেজার (বর্ধমান ১) তরুণকুমার সাহাবলেন, ‘‘উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যা বলার বলবেন।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:০৮
মেমারির ব্যাঙ্কে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ, তদন্ত। নিজস্ব চিত্র

মেমারির ব্যাঙ্কে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ, তদন্ত। নিজস্ব চিত্র

বছর খানেক ধরে ইচ্ছেমতো টাকা সরিয়েছেন বলে জেরায় জানিয়েছেন অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক কর্মী তারক জয়সওয়াল, এমনটাই দাবি পুলিশের। টানা আড়াই ঘণ্টা জেরার পরে শুক্রবার বিকেলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মেমারি শাখা থেকে সাড়ে ৮৪ লক্ষ টাকা জালিয়াতির অভিযোগে ধরা হয় তাঁকে। যদিও একা কর্মী, সবার নজর এড়িয়ে কী ভাবে ওই টাকা সরালেন সে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।

ওই শাখার ম্যানেজার দেবাশিস মিদ্যা, রিজিওনাল ম্যানেজার (বর্ধমান ১) তরুণকুমার সাহাবলেন, ‘‘উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যা বলার বলবেন।’’

বৃহস্পতিবার বিকেলে মেমারি থানায় তারকবাবুর নামে টাকা গায়েবের অভিযোগ জানান তরুণবাবু। শুক্রবার তিনি নিজেই ব্যাঙ্কে যান। প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, অ্যাকাউটেন্ট নূপুর মণ্ডলের সামনে তাঁকে জেরা করেন পুলিশ কর্তারা। প্রথমে ফাঁসানো হয়েছে বললেও পরে ধৃত স্বীকার করে নেন ঘটনা। জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, ‘‘ওই টাকা ফাটকা বাজিতে লাগিয়েছে তারক। জেরায় সে বলে ওঠে, ‘নিজেই জানতাম একদিন ধরা পড়ে যাব’।’’

এ দিন ব্যাঙ্কে যান এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিন) শৌভনিক মুখোপাধ্যায়, সিআই কৃষ্ণেন্দু ঘোষদস্তিদার ও মেমারির ওসি দীপঙ্কর সরকার। পুলিশের দাবি, তাঁরা দেখেন নথি অনুযায়ী ব্যাঙ্কের ভল্টে রয়েছে ২৭ লক্ষ কয়েন। টাকার পরিমাণ এক কোটি দু’লক্ষ টাকা ৭৮ হাজার। তাঁরা আধিকারিকদের প্রশ্ন করেন, এত কয়েন রাখার মত জায়গা ভল্টে জায়গা আছে কি? বিষয়টি আধিকারিকদের মাথায় আসেনি কেন, সে প্রশ্নও করা হয়। জানা যায়, ভল্টে শেষ অডিট হয়েছিল ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তখন কয়েনের পরিমাণ ছিল এক লাখ। দেড় বছর ধরে ভল্টের অডিট হল না কেন, এক কোটি টাকার উপর ভল্টে পড়ে রয়েছে জানার পরেও সেই টাকা ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক দফতরে বা রিজার্ভ ব্যাঙ্কে পাঠানোর কোনও ব্যবস্থা হল না কেন, এর জবাবে ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা কার্যত কোনও উত্তর দিতে পারেননি। শেষ চার-পাঁচ মাস নগদ টাকা থেকে কয়েনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পরেও ম্যানেজারের কেন সন্দেহ হয়নি উঠেছে সে প্রশ্ন। ব্যাঙ্কের আধিকারিকেরা তাঁরা শুধু পুলিশকে জানান, ওই পরিমান টাকা নথিতে থাকলেও আদতে কয়েনের বস্তা কোনও দিন ভল্টে ঢোকেনি। কয়েন নিয়ে তারক ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়েও যাননি।

Crime Bank Fraud Memari
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy