মঙ্গলকোটে নর্মদা ব্রহ্মচারী। নিজস্ব চিত্র।
শরীর সুস্থ রাখতে যোগাভ্যাসের প্রচারে দেশের নানা রাজ্যে পদব্রজে প্রায় দশ হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করে ফেলেছেন তিনি। ঘুরেছেন নানা সতীপীঠ। শুক্রবার বিশ্ব যোগ দিবসে মঙ্গলকোটের সতীপীঠ মঙ্গলচণ্ডী মন্দিরে হাজির হন বছর একাত্তরের নর্মদানন্দ ব্রহ্মচারী। শক্তিশালী দেশ গড়তে সুস্থ শরীর ও মানসিকতা গড়া জরুরি বলে বার্তা দেন তিনি। সেখান থেকে দুপুরে রওনা দেন বীরভূমের দিকে।
মধ্যপ্রদেশের মহেশ্বর থানার জলকোটি গ্রামের বাসিন্দা নর্মদানন্দ ব্রহ্মচারী দেশের প্রতিটি সতীপীঠ হেঁটে ঘোরার সঙ্কল্প করেছেন। তাঁর সঙ্গী দেবী নর্মদা, রামকৃষ্ণ দেব ও সারদা দেবীর ছবি আর নর্মদার জল। অমরকন্টক থেকে উজ্জয়নী, পুষ্কর, কাশি, মথুরা, কামাক্ষ্যা, মেঘালয়, ত্রিপুরা হয়ে বাংলায় এসেছেন তিনি। এখানেও নলাটেশ্বরী, কীরীটিশ্বরী, ফুল্লরা, কঙ্কালীতলার মতো নানা জায়গা ঘুরে গত মঙ্গলবার পৌঁছন কেতুগ্রামের বাহুলক্ষ্মীতলা সতীপীঠে। অট্টহাস সতীপীঠ ঘুরে মঙ্গলকোটের যোগাদ্যা মন্দির হয়ে পৌঁছন মঙ্গলচণ্ডী মন্দিরে। যাত্রাপথে স্থানীয় লোকজনই তাঁর রাত্রিযাপন ও খাবারের ব্যবস্থা করছেন।
তিনি বলেন, ‘‘শুধু একদিন আন্তর্জাতিক যোগদিবস পালন করলেই হবে না। শরীর ও মন সুস্থ রাখতে সারা বছরই যোগাভ্যাস করতে হবে। দেশের নানা প্রান্তে এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে প্রায় ২৯টি সতীপীঠ দর্শন করেছি। এখনও ছ’টি রাজ্য বাকি আছে। সব জায়গাতেই আমি যোগাভ্যাস ও ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতি তুলে ধরার চেষ্টা করছি।’’ এ দিন অনেকেই অজয়ের পাড়ে ওই মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy