এসআইআর ঘোষণার শুরুতেই আতঙ্কের আবহের শুরু। হাজিরার আগে পর্যন্ত সেই ‘ধারা’ অব্যাহত। এসআইআরের শুনানির আগের দিন রাজ্যে জোড়া মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল। দুটি মৃত্যুই হৃদ্রোগজনিত কারণে। তবে পরিবার তথা শাসকদল দায়ী করছে এসআইআরকে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার বৃদ্ধ আলম খানের মৃত্যুর পর মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় এক যুবকের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আলমের মতো তিনিও হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে খবর। মৃতের নাম নিমাই মাল। হরিহরপাড়ার রায়পুরের বাসিন্দা। মৃতের পরিবারের দাবি, নিমাইয়ের বাবার পদবি নথিতে অন্য ছিল। সে জন্য শনিবার তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু এসআইআরের শুনানিতে উপস্থিত হতে হবে শুনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ৪৪ বছরের যুবক। তার পরেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত এবং মৃত্যু!
পরিবার সূত্রে এ-ও খবর, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের খসড়ায় নিমাইয়ের নাম রয়েছে। কিন্তু ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় নিমাই মালের বাবার নাম রয়েছে শ্যামলাল রায়। অথচ ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর পদবি মাল। বাবার পদবি রায়, ছেলের পদবি পাল। এই অমিল থাকায় নোটিস আসে। তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যুবক শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা নিমাইকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের স্ত্রী পরিবালা মাল বলেন, “পদবির গন্ডগোলের জন্য আমার এত বড় ক্ষতি হয়ে গেল। কী ভাবে এত বড় ভুল হল, তা নিয়ে চিন্তায় ঘুমোচ্ছিল না ও। সকাল থেকে সমস্ত কাগজপত্র খোঁজাখুঁজি করছিল। বেলা ১১টা নাগাদ স্ট্রোক হয়।”
আরও পড়ুন:
রায়পুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান নাজমুল হক জানান, নিমাইয়ের কাছে সমস্ত নথিপত্র ছিল না। আতঙ্কগ্রস্ত হয়েই উনি মারা গিয়েছেন।