E-Paper

সেনা কমান্ডোর ভুয়ো পরিচয়ে ভাড়া, ধৃত এক

এসিপি (দুর্গাপুর) তথাগত জানান, বাইরে থেকে বহু মানুষ নানা প্রয়োজনে দুর্গাপুর শহরে আসেন এবং ভাড়া থাকেন। সম্প্রতি শহর জুড়ে ভাড়াটিয়া যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২৩ ০৮:৫৫
গ্রেফতার করা হয়েছে ছত্তীসগঢ়ের এই বাসিন্দাকে (মাঝে)। দুর্গাপুরে। নিজস্ব চিত্র

গ্রেফতার করা হয়েছে ছত্তীসগঢ়ের এই বাসিন্দাকে (মাঝে)। দুর্গাপুরে। নিজস্ব চিত্র

সেনা কমান্ডোর ভুয়ো পরিচয় দিয়ে দুর্গাপুরের বেনাচিতির সুভাষপল্লিতে ভাড়াবাড়িতে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকছিলেন হায়দার বেগলু নামে এক ব্যক্তি। এমন অভিযোগে ও গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতে পুলিশ হায়দারকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায় ধৃতের বাড়ি, ছত্তীসগঢ়ের রাজনন্দগাঁও লাখোলিতে। রবিবার ধৃতকে দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে তাঁকে চার দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযুক্ত একটি বেসরকারি কারখানায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। অভিযুক্ত আদালতে যাওয়ার পথে দাবি করেছেন, তিনি না কি ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রামে ভিডিয়ো আপলোড করার জন্যইএমনটা করতেন!

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হায়দার পরিবার নিয়ে প্রায় দু’মাস ধরে বেনাচিতির ওই ভাড়াবাড়িতে ছিলেন। পুলিশ তাঁর কাছ থেকে সেনার জাল পোশাক, টুপি, বেল্ট, দু’টি পরিচয়পত্র, একটি মোবাইল উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে। তা ছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে একটি নকল কার্বাইনের মতো দেখতে আগ্নেয়াস্ত্র ও এয়ারগান। একটি ‘আর্মি’ লেখা মোটরবাইকও উদ্ধার হয়েছে। ভুয়ো সেনা কমান্ডোর পরিচয় তিনি কেন দিয়েছিলেন, তিনি কোনও দুষ্কৃতী চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না, তাঁকে জেরা করে এ সব তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (দুর্গাপুর) তথাগত পাণ্ডে বলেন, “ধৃত কী জন্য এ সব করেছিলেন, তা জানতে জেরা করা হবে। ধৃতের পরিচয় যাচাইকরা হচ্ছে।”

এসিপি (দুর্গাপুর) তথাগত জানান, বাইরে থেকে বহু মানুষ নানা প্রয়োজনে দুর্গাপুর শহরে আসেন এবং ভাড়া থাকেন। সম্প্রতি শহর জুড়ে ভাড়াটিয়া যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। বাড়ির মালিকদের ফর্ম পূরণ করে ভাড়াটিয়ার তথ্য জানাতে হচ্ছে পুলিশকে। পাশাপাশি, পুলিশও পাড়ায়-পাড়ায় সচেতনতা শিবির করছে। প্রচার করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াতে সাফল্যও মিলেছে বলে দাবি তাঁর।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ধৃতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন যে, তাঁর স্বামী সেনায় কর্মরত। তবে, থানা থেকে আদালতে যাওয়ার পথে হায়দার সংবাদমাধ্যমের একাংশের সামনে দাবি করেন, তাঁর বাবা সেনা জওয়ান ছিলেন। বাবার মতো তিনিও সেনায় যোগ দিতে চেয়েছিলেন। স্বপ্ন সফল হয়নি। তাই সেনার পোশাক পরে, গলায় নকল আগ্নেয়াস্ত্র ঝুলিয়ে ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামে ভিডিয়ো আপলোড করতেন! ভিডিয়ো তৈরির জন্যই এই সব সামগ্রী তিনি জোগাড় করেছিলেন। ইতিমধ্যেই তিনি বহু ভিডিয়ো আপলোড করেছেন। তাঁর কোনও অসৎ উদ্দেশ্যছিল না।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Durgapur Fraud Fake Identity

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy