Advertisement
E-Paper

রাস্তায় স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন, কালনায় গ্রেফতার প্রৌঢ়

ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে কালনা ১ ব্লকের সহজপুর বাজারে ঘটনাটি ঘটে। পরে কিছুটা দূরের বিষহরিডাঙা গ্রাম থেকে ওই প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত, দায়মল মণ্ডল খুনের কথা স্বীকারও করেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৫ ০০:৪১

ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে কালনা ১ ব্লকের সহজপুর বাজারে ঘটনাটি ঘটে। পরে কিছুটা দূরের বিষহরিডাঙা গ্রাম থেকে ওই প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত, দায়মল মণ্ডল খুনের কথা স্বীকারও করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর কুড়ি আগে কালনার কাকুরিয়া পঞ্চায়েতের জুরেপাড়ার মলিনা খাতুনের (৩৭) সঙ্গে বিয়ে হয় কাছাকাছি বেগপুর পঞ্চায়েতের কপ্পুরডাঙা গ্রামের দায়মলের। চার ছেলেও রয়েছে তাঁদের। বছর তিনেক আগে কাজের তাগিদে কেরল যায় দায়মল ওরফে গুরু। এরপর থেকেই নানা ব্যাপারে স্ত্রীর সঙ্গে তার মনোমালিন্য দেখা যায়। মলিনা বিবি বাপের বাড়িতে থাকতেও শুরু করেন। সংসার চালাতে বিড়ি বাধার কাজও শুরু করেন তিনি। মায় ছয়েক আগে কেরল থেকে ফেরে দায়মল। সেও শ্বশুরবাড়িতে থাকার আগ্রহ দেখায়। কিন্তু মলিনা বিবি তাতে রাজি হননি। আশপাশের বাসিন্দাদের অভিযোগ, এরপর থেকেই দু’জনের মধ্যেই তিক্ততা আরও বাড়ে। মনোমালিন্য মেটাতে এলাকা কয়েকজন মিলে বৈঠকও বসান। তবে মলিনা বিবি সভায় জানিয়ে দেন, তাঁর স্বামী কেরলে ফের বিবাহ করেছেন। চারিত্রিক ত্রুটিও রয়েছে তাঁর। ফলে তাঁর সঙ্গে আর এক ছাদের তলায় থাকা সম্ভব নয়। বেগপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান আলতাব হোসেনও বলেন, ‘‘আলোচনা সভায় যেহেতু ওই বধূ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন তার পক্ষে আর স্বামীর সঙ্গে থাকা সম্ভব নয়। তাই আলোচনা আর এগোয় নি।’’

অভিযোগ, এরপরে নিজের গ্রাম কপ্পুরডাঙাতে থাকলেও কিছুদিন ধরেই স্ত্রীকে শাঁসাচ্ছিলেন দায়মল। মঙ্গলবার দুপুরে মলিনা বিবি বিড়ি পৌঁছে দিতে কালনা শহরে এসেছিলেন। বিকেলে পাথরডাঙা-কালনা বাসে সহজপুর বাজারে ফিরে আসেন। এরপর বাড়ির দিকে হাঁটা লাগালে কাছাকাছি একটি চায়ের দোকান থেকে ছুটে এসে স্ত্রীর পথ আগলায় দায়মল। অভিযোগ, মুহূর্তেই নিজের কাছে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাস্তার মাঝেই স্ত্রীর গলার নলি কেটে দে। এরপরেও খুন নিশ্চিত করতে আরও কয়েকটি কোপ বলায় শরীরে। ঘটনাস্থলেই মারা যান মলিনা বিবি। এলাকার লোকজন জানান, স্ত্রীকে খুনের পরেই কাছাকাছি বিষহরিডাঙা গ্রামে পালায় দায়মল। পরে পুলিশ ধরে তাকে। পুলিশেরও অনুমান, পারিবারিক গণ্ডগোল থেকেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।

murder kalna police panchayat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy