প্রায় দু’মাস আগে সন্তানের জন্ম দেয় এক নাবালিকা। হাসপাতাল থেকে খবর যায় পুলিশে। এর পর মঙ্গলবার নাবালিকার সন্তান প্রসব করার ঘটনায় তার স্বামীকে গ্রেফতার করে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার পুলিশ। শক্তিগড় থানা এলাকাতেই ধৃতের বাড়ি। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার ধৃতকে বর্ধমানের পকসো আদালতে হাজির করানো হলে, বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ২৬ অগস্ট ধৃতকে ফের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেন পকসো আদালতের বিচারক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ৬ জুন কলকাতার বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে প্রসবের জন্য ভর্তি হয় ওই নাবালিকা। সে সেখানে সন্তানের জন্ম দেয়। নাবালিকার বয়স জানার পর হাসপাতাল থেকে বিষয়টি নিউটাউন থানায় জানানো হয়। নিউটাউন থানা ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, পকসো আইনের ৬ এবং বাল্যবিবাহ রোধ আইনের ৯ ধারায় মামলা রুজু করে। সেটি জিরো এফআইআর হিসেবে গণ্য করে তদন্তের জন্য বর্ধমানের পুলিশ সুপারকে পাঠায় তারা। পুলিশ সুপার ঘটনার তদন্তের জন্য শক্তিগড় থানাকে নির্দেশ দেন। তার ভিত্তিতে তদন্তে নামে শক্তিগড় থানার পুলিশ। নাবালিকা, তার মা ও বাবার বয়ান জেলাশাসকের কাছে নথিভুক্ত হয়।
আদালতে হলফনামা দাখিল করে ধৃতের জামিন হলে তার কোনও আপত্তি নেই বলে জানায় নাবালিকা। যদিও তাতে আমল দেয়নি আদালত। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ২৬ অগস্ট ধৃতকে ফের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেন পকসো আদালতের বিচারক দেবশ্রী হালদার। তদন্তের প্রয়োজনে সদ্যোজাত, নাবালিকা ও ধৃতের ডিএনএ পরীক্ষা করা প্রয়োজন বলে আদালতে জানান তদন্তকারী অফিসার। এর জন্য রক্তের নমুনা সংগ্রহের আবেদন জানান তিনি। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক।