Advertisement
E-Paper

গবেষণার যোগসূত্রে ফের স্কটল্যান্ডের দল রানিগঞ্জে

খনি-শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে সে দেশের যোগসূত্রের গবেষণায় ফের রানিগঞ্জে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত নারায়ণকুড়ি এলাকা ঘুরে গেল স্কটল্যান্ডের এক প্রতিনিধি দল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২০ ০২:০০
নারায়ণকুড়ি এলাকায় গবেষকেরা। নিজস্ব চিত্র

নারায়ণকুড়ি এলাকায় গবেষকেরা। নিজস্ব চিত্র

খনি-শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে সে দেশের যোগসূত্রের গবেষণায় ফের রানিগঞ্জে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত নারায়ণকুড়ি এলাকা ঘুরে গেল স্কটল্যান্ডের এক প্রতিনিধি দল।

আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রাক্তন পড়ুয়া শুভজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও হেমন্ত মণ্ডল বছর তিনেক আগে ‘আসানসোল হেরিটেজ রিসার্চ গ্রুপ’ তৈরি করেন। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কলেজ অব আটর্স’। সেখানকার ‘ডেপুটি ডিন অব রিসার্চ’ এডওয়ার্ড হলিস জানান, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরকে স্কটল্যান্ডের মেয়র ‘সিটি অব ফ্রিডম’ পুরস্কার দিয়েছিলেন। শান্তনুবাবুদের সঙ্গে তাঁরা ‘আসানসোল অ্যান ফিনিশিড বায়োগ্রাফি অব আ রাজ রেলওয়ে টাউন’ শীর্ষক গবেষণায় যুক্ত হয়েছেন। আসানসোলের বিভিন্ন প্রান্তের ‘হেরিটেজ’ সংরক্ষণে উৎসাহ দিচ্ছেন তাঁরা।

নারায়ণকুড়ি এলাকায় প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর কার সাহেবের সঙ্গে যৌথ ভাবে কয়লা খনি চালু করেছিলেন। প্রথমে লাগোয়া দামোদরে নৌকায় কয়লা পরিবহণ করা হত। রেলপথে পরিবহণের জন্য হাওড়া থেকে রানিগঞ্জ রেললাইন পাতার ক্ষেত্রেও দ্বারকানাথের ভূমিকা ছিল। তাঁর স্মৃতিবিজড়িত নারায়ণকুড়ি মথুরাচণ্ডী ঘাটে নৌকার জেটি, বাংলো, খনির প্রশাসনিক ভবন, খনি মুখ-সহ ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন শান্তনুবাবুরা। গত বছর ৬ মার্চ নারায়ণকুড়ি ঘুরে গিয়েছিলেন এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞেরা।

শান্তনুবাবু জানান, তাঁদের দলের সদস্য শুভজিৎ ও হেমন্ত ২০১৮ সালের নভেম্বরে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত একটি আলোচনাচক্রে এই খনি এলাকায় শহরের বিস্তারে দ্বারকানাথের ভূমিকা তুলে ধরেন। রাজ্য সরকার নারায়ণকুড়ি এলাকাকে ‘হেরিটেজ’ ঘোষণা করেছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে সংরক্ষণের টাকা খরচে উপযুক্ত পরিকল্পনা ও তা রূপায়ণে বিশেষজ্ঞ নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, কিশোরীচাঁদ মিত্রের লেখা দ্বারকানাথের জীবনী, দ্বারকানাথকে নিয়ে তথ্যচিত্র, দুর্গাপুরের খয়রাশোল মোড়ে দ্বারকানাথের লুপ্তপ্রায় বাংলো-সহ তাঁর নানা স্মৃতিবিজড়িত বিষয় সংরক্ষণ ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হোক। নারায়ণকুড়ি এলাকাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার দাবিও রয়েছে।

এ দিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন ওই রিসার্চ গ্রুপের উপদেষ্টা কমলিকা বসু, আসামসোল রামকৃষ্ণ মিশনের শিক্ষক শুভজিৎ সরকারেরা। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে আমরা জায়গাটি সংরক্ষণে এক কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছি। মন্দির পাঁচিল দিয়ে ঘেরার কাজ চলছে। এডিনবরার বিশেষজ্ঞদের মতামত ও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।’’

Scotland Rani Gunj Mining Areas Research Team
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy