রানিগঞ্জের পঞ্জাবি মোড়ের কাছে নতুন সেতু জুড়ে সার দিয়ে রাখা ট্রাক। নিজস্ব চিত্র।
শীতের ভোরে গাড়িতে চড়ে ইলামবাজার থেকে ফিরছিলেন কাঁকসার বাসিন্দা স্বদেশ সাহা। পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়কে বিলপাড়ার কাছে আচমকা ব্রেক কষে গাড়ি থামান চালক। সামনেই রাস্তার বেশ কিছুটা দখল করে তখন দাঁড়িয়ে একটি পাথরবোঝাই ট্রাক। শেষ মুহূর্তে দেখতে পাওয়ায় গত বছর বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন স্বদেশবাবুরা। কিন্তু রাস্তার পাশে অবৈধ পার্কিংয়ের জন্য দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে এই রাস্তায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার আবেদনেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান মেলেনি।
দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়ক। এই রাস্তার ২৩ কিলোমিটার রয়েছে কাঁকসা থানা এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দিনভর বালি, পাথর-সহ বিভিন্ন মালবোঝাই ট্রাক, ট্রেলার, গ্যাসের ট্যাঙ্কার যাতায়াত করে এই রাস্তা ধরে। এই রাস্তাটি দুর্ঘটনাপ্রবণ। তার উপরে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ ভাবে পার্কিং করা থাকে গাড়িগুলি। কোথাও নিজেরা রান্না করে চলে খাওয়াদাওয়া, কোথাও আবার চালক, খালাসি গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাস্তার পাশের ধাবা, হোটেলে ঢুকে পড়েন। তার জেরে এক দিকে যেমন রাস্তায় যানজট হয়, তেমনই বেড়ে চলেছে দুর্ঘটনার সংখ্যা। প্রাণ হারাতে হচ্ছে অনেককে। মূলত মোটরবাইক চালক ও ছোট গাড়িগুলি বেশি সমস্যায় পড়ছেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
সন্ধ্যের পর থেকে পার্কিং সবচেয়ে বেশি হয় বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা। গাড়িগুলিতে কোনও আলো জ্বলে না বলে দাবি তাঁদের। কয়েক মাস আগে ত্রিলোকচন্দ্রপুর মো়ড়ের কাছে রাতে একটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা মারেন এক মোটরবাইক আরোহী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। কাঁকসার দোমড়া গ্রামের কাছে একটি গ্যাস ফিলিং সেন্টার রয়েছে। সেখানে গ্যাসের ট্যাঙ্কারগুলি দীর্ঘ সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। মাঝেমধ্যে রাতের দিকে রাস্তার দু’পাশে ট্যাঙ্কার সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর। যদিও কাঁকসা থানার পুলিশের দাবি, রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড়াতে দেওয়া হয় না। অবৈধ পার্কিংয়ের খবর পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ছাড়াও নিয়মিত রাস্তায় নজরদারি চালানো হয় বলেও দাবি পুলিশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy