অভাবি বিক্রি ঠেকাতে চাষিদের থেকে ফুলকপি কিনে সুফল বাংলা স্টল ও পাইকারি বাজারে পাঠাবে কৃষি বিপণন দফতর। শনিবার কালনা মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলকপির দরও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল জানান, ছোট ফুলকপি কেনা হবে সাড়ে তিন টাকা দরে। বড় ফুলকপির দর নির্ভর করবে আকারের উপরে।
চাষিদের দাবি, সপ্তাহ দুই আগে একটি ফুলকপি পাইকারি বাজারে ১০-১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। নতুন বছরের শুরু থেকে দর কমতে শুরু করে। এখন পাইকারি বাজারে একটি কপির দাম ১-২ টাকা। ক্রেতার অভাবে আড়তে মজুত থেকে যাচ্ছে প্রচুর ফুলকপি। জমি থেকে কপি তুলে যানবাহনের ভাড়া দিয়ে পাইকারি বাজারে আনতে যা খরচ হয়, বিক্রি করে মেলে তার থেকে কম, দাবি চাষিদের একাংশের। এই অবস্থায়, পূর্বস্থলী ২ ব্লকের চাষিরা অনেকেই গবাদি পশুদের ফুলকপি খাওয়ানো শুরু করেন। অনেকে ফুলকপির জমি ট্র্যাক্টর দিয়ে চষে অন্য আনাজ চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনেকে দর বাড়ার আশায় জমিতে ফেলে রেখেছেন কপি। সেই সব ফসল নষ্ট হচ্ছে।
পূর্বস্থলীর কালেখাঁতলার আনাজের আড়তদার ক্ষুদিরাম মাহাতোর দাবি, ‘‘জমি থেকে ফসল কেটে বাজারে আনার খরচই অনেক চাষি কপি বিক্রি করে তুলতে পারছেন না। একটি ফুলকপির দাম দেড়-দু’টাকার বেশি উঠছে না। এক সঙ্গে প্রচুর ফুলকপি মাঠ থেকে ওঠায়, পাইকারি বাজারগুলিতে জোগান বেড়ে গিয়েছে। ফলে, দাম কমেছে।’’ একটি বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে আড়াই-তিন টাকা দরে।
চাষিদের দাবি, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে এই সময়ে বেশ কিছু ফুলকপি যায়। তা না হলে আরও বেশি ফসল নষ্ট হত এ বার। কালনার চাষি রমেন মণ্ডল বলেন, ‘‘এক বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষে খরচ প্রায় ২০ হাজার টাকা। এ বার চাষের খরচই ওঠেনি। সরকারি উদ্যোগে কিছু ফুলকপি কেনা হলে লোকসান একটু কমবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)