E-Paper

আচার্য-রাজ্য সংঘাতে থমকে নানা প্রকল্প, দাবি উপাচার্যের

গত ২ জুন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসাবে দেবাশিসকে নিয়োগ করেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে এই নিয়োগ আলোচনা ছাড়াই হয়েছে বলে রাজ্য দাবি করে।

সুশান্ত বণিক

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৩ ০৭:৪৩
কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র Stock Photographer

লাল ফিতের গেরোয় আটকে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং শিক্ষা সংক্রান্ত প্রকল্প রূপায়ণের বেশ কিছু কাজ। সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে এমনটাই দাবি করলেন আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অবস্থার জন্য আচার্য-রাজ্য সংঘাতই মূল কারণ বলে মনে করছেন তিনি। তবে তিনি আশাবাদী, সংঘাতের আবহ কেটে যাবে।

গত ২ জুন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসাবে দেবাশিসকে নিয়োগ করেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে এই নিয়োগ আলোচনা ছাড়াই হয়েছে বলে রাজ্য দাবি করে। এই উপাচার্যদের বেতন, ভাতা ও ছুটি বন্ধ করারও ঘোষণা করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলাও হয়। তবে আদালতের নির্দেশ, উপাচার্যদের বেতন, ভাতা ও ছুটি বন্ধ করা যাবে না। এই পরিস্থিতিতে দেবাশিসের মন্তব্য, “দ্বৈরথ চলতেথাকলে বিশ্ববিদ্যালয় অসুবিধার সম্মুখীন হবে। বিশ্বাস করি, এই দ্বৈরথ কেটে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা সংক্রান্ত একাধিক প্রকল্পের রূপায়ণ লাল ফিতের গেরোয় আটকে রয়েছে। আর্থিক সমস্যার জন্য প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে না।” তবে উপাচার্যের সংযোজন:“আশা করছি, দ্বৈরথ কেটে গিয়ে সরকারের আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে। সরকারের তরফে তেমনই কিছু ইতিবাচক বার্তা পাচ্ছি।”

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে পড়ুয়াদের জন্য ভবন সম্প্রসারণ করা দরকার। কোথায়, কী ভাবে ভবন সম্প্রসারণ হবে, তার নীল-নকশা বানিয়ে সরকারের কাছে অর্থ মঞ্জুরির জন্য পাঠানো হয়েছে। অ্যালায়েড হেল্থ সায়েন্স ও অ্যানিমেল সায়েন্স বিভাগ দু’টির জন্য উপযুক্ত গবেষণাগার এবং প্রাণী সংরক্ষণকেন্দ্র বানানোর অর্থ মঞ্জুরির জন্যও আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি, কিছু পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজের জন্য অর্থ অনুমোদন হওয়ার পরেওকাজ থমকে আছে। উপাচার্য অবশ্য জানান, অনুমোদনের পরেও কোথায় কী কারণে সে সব টাকা আটকে আছে, তা নিয়ে কলকাতার বিকাশ ভবনে প্রতিনিধি পাঠিয়েতদ্বির করা হয়েছে।

এ দিকে, আচার্য-রাজ্য সংঘাতের আবহ দ্রুত থামা দরকার বলে মনে করছেন তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার নেতৃত্ব। সংগঠনের জেলা সম্পাদক বীরু রজক বলেন, “পড়ুয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভেবে দু’পক্ষকেই অনমনীয় মনোভাব ত্যাগ করতেহবে। এই অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে শিক্ষাঙ্গনেরই ক্ষতি।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kazi Nazrul University C V Ananda Bose

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy