নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যকে না জানিয়ে ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে শুক্রবারই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধ্যায় নবান্নের তরফেও বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, না জানিয়ে জল ছাড়ার কারণে ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যে। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সেই আবহে শনিবার জল ছাড়ার পরিমাণ কমাল ডিভিসি।
শুক্রবার মাইথন বাঁধ থেকে ৯০ হাজার আর পাঞ্চেত বাঁধ থেকে ৩৫ হাজার অর্থাৎ, সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছিল। শনিবার সকালে তা কমিয়ে ৯৫ হাজার কিউসেক করা হল। অবশ্য শুক্রবার রাতে জল ছাড়ার মোট পরিমাণ কমিয়েছিল ডিভিসি। মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে করা হয়েছিল ৬০ হাজার। তবে বাড়ানো হয়েছিল পাঞ্চেতে। ৩৫ হাজার থেকে তা বাড়িয়ে করা হয় ৬০ হাজার কিউসেক। শনিবার সকালে মাইথন থেকে ছাড়া জলের পরিমাণ আরও কিছুটা কমিয়ে করা হয় ৩৫ হাজার। একই রাখা হয় পাঞ্চেত থেকে ছাড়া জলের পরিমাণ।
রাজ্যে একটানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ার পাশাপাশি মাইথন, পাঞ্চেত, ডিভিসি-র জলাধার থেকে জল ছাড়ার জেরে ফুলে ফেঁপে উঠেছে নদীগুলি। দামোদর, দ্বারকেশ্বর, রূপনারায়ণের জল বিপদ সীমার অনেক উপর দিয়ে বইছে। আসানসোলের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। নানুরও পুরোপুরি জলমগ্ন। শুক্রবার মমতা বলেন, ‘‘জল ছেড়ে কেন বন্যা ঘটাবে? ঝাড়খণ্ডের বোঝা আমরা কেন নেব?’’ এর পরই জল ছাড়ার পরিমাণ কমাল ডিভিসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy